
বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাসের অভিঘাত। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসবের প্রভাবে টালমাটাল অবস্থা বিশ্ব অর্থনীতির। এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্বের বাজারগুলো। বিভিন্ন দেশে চরম আকার ধারণ করেছে মূল্যস্ফীতি। সংকট দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের। ফলে এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে খাদ্যপণ্যের ওপর। এসব কারণেই বর্তমানে অস্থিরতা বিরাজ করছে বিশ্ব বাজারে।
এমতাব্স্থায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও দেখা দিয়েছে মন্দার আশঙ্কা। অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরাও আশঙ্কা করছেন, উন্নত দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে।
এ নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তিন ধনকুবের- ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও কেন গ্রিফিন। তাদের সবাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন মন্দা নিয়ে সতর্কবাণী দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজসেন ইনসাইডার মন্দা নিয়ে দেশটির শীর্ষ ধনীরা কী ভাবছেন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তারা মন্দার অশনিসংকেত নিয়ে কথা বলেছেন।
ইলন মাস্ক (টেসলা ও টুইটার সিইও)
সম্প্রতি টুইটারের মালিকানা হাতে পাওয়া এই ধনী মনে করেন, আগামী এক বা দুই বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর মন্দা দেখা দেবে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতির চিত্র ভালো মনে হচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের মতো যেসব কোম্পানি বিজ্ঞাপনের ওপর বেশি নির্ভরশীল, তাদের অবস্থা ভালো যাবে না।
জেফ বেজোস (অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যান)
জেফ বেজোস বলেছেন, অর্থনীতি এ মুহূর্তে ভালো অবস্থায় নেই। অর্থনীতির গতি কমে যাচ্ছে, অনেক খাতেই কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। এখনো আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দার কবলে পড়িনি, কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে, শিগগিরই আমরা মন্দার কবলে পড়ব।
তিনি আরও বলেছেন, সেজন্য পরামর্শ- ঝুঁকি যতটা সম্ভব হ্রাস করা যায়, তার চেষ্টা করতে হবে। সেই সঙ্গে ভালো সময়ের অপেক্ষায় থাকার পাশাপাশি খারাপ সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
কেন গ্রিফিন (সিটাডেল সিইও)
তিনি মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ যেভাবে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে, তাতে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। ফলে ২০২৩ সালের মধ্যভাগের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হবে না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।