
লেখক উপস্থাপক মিস্টি হাসির সদা খুশিময় চার যুগের জানা-শোনা। প্রিয় আলী ইমাম ভাইকে আবার ঢাকায় গেলে দেখবোনা, বিশ্বাস হয়না।তার শিশু কিশোরদের জন্যে পাঁচশতের অধিক বই কোন প্রকাশকের কোন-কোন বইয়ের অলংকরণ –প্রচ্ছদ করেছি আমি তা আমারই মনে নেই।
তার দীর্ঘকাল বিটিভি কর্মস্থলে দেখা সাক্ষাত ঝাপসা হয়ে এলেও যখনি ঢাকায় গিয়েছি বারাবার দেখা হতো। তা বাংলাবাজার বইপাড়ায় বা একাডেমির বইমেলায়। মুনতাসীর মামুনের তিনি স্কুল থেকে সহপাঠি ও কাছের বন্ধু। মামুন ভাইয়ের বাসায় আনন্দ বা শোক যে কোনো অনুষ্ঠানে সব সময় তাকে পেয়েছি। তিনি আসলে বিটিভি থেকে অবসরের পরই আরো বেশি কর্মমুখর উজ্জ্বিত হয়ে উঠে ছিলেন। বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় মাঠ থেকে লাইভ বইয়ের কথা লেখক কবিদের সাক্ষাতকার চ্যানেল আই – লুহফর রহমান রিটনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাজী টিভির জন্যে আলী ইমাম করতেন।
এমন কোনো বার হয়নি তার সামনে দিয়ে মেলায় আসতেই হাত নেড়ে ভূবন ভাষানো হাসি দিয়ে ডেকে ক্যামেরার সামনে নিজে নতুন বই নিয়ে কথা বলতে দাঁড়া করাননি! কোভিডের আগে দুই হাজার পনেরো না ষোল মনে নেই এপ্রিল মাসে আমার জন্মদিনে প্রিয়জন ছড়াকার আমীরুল ইসলাম তার তাজমহল রোডে শিয়া মসজিদ কাছের বাসায় শর্ট নোটিশে কেক আর ডিনার আয়োজন করলো। সায়ীদ ভাই আসবেন শুনে আমিও উৎফুল্ল। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী আরেক প্রিয়জন আহমদ মাযহার উপস্থিত শুনে আরো খুশি লাগছিলো এরমধ্যে আমীরুল জোরে সোরে বলে উঠলো-খানা পিনা গানা সব পজ দিয়ে রাখতে ! এখানে আসতে আলী ইমাম ভাই দ্রুত ছুটে আসছেন। কাছকাছি এসে গেছেন।
আমার খুশিতো বাসার সিলিং এ বেলুনের মত উড়ে গিয়ে আঁটকালো! আপনি না থাকলে এই আন্তরিকতা কে দেখাবে আলী ইমাম ভাই! আনিসুজ্জান,রাহাত খান,শামসুজ্জামান খান,রফিক আজাদ,হাবীবউল্লাহ সিরাজী গেলেন ….এবার আপনিও ! ঢাকায় গেলেতো এতিম মনে হবে নিজেকে!
স্কারবোরো, কানাডা