
কানাডার সবচেয়ে বড় ড্রাগস্টোর চেইন লবলজ এই ফলে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কাশি ও ঠান্ডার ওষুধ বিক্রি করেছে। লবলজ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট গ্যালেন জি. ওয়েস্টন বলেন, কোভিড-১৯, আরএসভি ও ফ্লু কোম্পানির ফার্মেসিতে রেকর্ড পরিমাণ কাশি ও ঠান্ডার ওষুধ বিক্রিতে ভূমিকা রেখেছে। কোম্পানির ফার্মেসির মধ্যে আছে শপার্স ড্রাগ মার্ট ও ফার্মাপ্রিক্স।
তিনি বলেন, চাহিদা এতোটাই বেড়েছে যে এর সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাল্টিন্যাশনাল ও জেনেরিক ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদকরা। উৎপাদকদের ওপর অস্বাভাবিক এই চাপের কারণে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কিছু ওষুধের মজুদ সীমিত হয়ে পড়েছে। উৎপাদন বাড়াতে কঠোর চেষ্টা করছে উৎপাদকরা। তবে কবে নাগাদ ঘাটতির অবসান হবে সেটা বলা মুশকিল।
প্রেক্রিপশন ওষুধ বিক্রিতেও কোম্পানি টেকসই প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়েস্টন। সর্বশেষ প্রান্তিকে লবলর ড্রাগস্টোরের বিক্রি আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ৮ অক্টোবর সমাপ্ত প্রান্তিকে ফার্মেসিতে ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের বিক্রি বেড়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।
ফার্মেসি পরিচালনা করে মেট্রো ইনকরপোরেশনও। তাদের ফার্মের মধ্যে আছে জঁ কুতো অ্যান্ড বার্নেট। সাম্প্রতিক প্রান্তিকে তাদের বিক্রি বেড়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২৪ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত চতুর্থ প্রান্তিকে ফ্রন্ট-স্টোর বিক্রি বেড়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এতে ভূমিকা রেখেছে মূলত ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ ও প্রসাধনের বিক্রি।
ওষুধের যে ঘাটতি তা সমাধানে সহায়তা করার কাজ চলছে বলে ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। হেলথ কানাডা শিশুদের ব্যথানাশক ও জ¦রের ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানির ব্যবস্থা করছে।