
ক্যালিফোর্নিয়াবাসী বছর ৪৩-এর রেস ডেভিস নিজেকে একজন পরকীয়া বিশারদ বলে পরিচয় দেন। রেসের মতে পরকীয়া আদতে ‘আসক্তি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তার মতে, কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, কোনো বেদনা ভোলার জন্য, অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপ কিংবা পরিবারে কোনো সমস্যা হলে দম্পতির একজন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
যারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাদের সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন রেস। দাম্পত্যে কোথায় গলদ হচ্ছে তা বোঝা বেশ মুশকিল। রেসের মতে, ‘আমি স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারি। বিয়ের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। তৈরি হয় আসক্তি! ব্যক্তির মস্তিষ্কে ডোপামাইন নামক রাসায়নিকের ক্ষরণ হয়, যা আসক্তির মূল কারণ।’
কিভাবে পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসবেন? : রেসের মতে, আমি দম্পতিকে সত্য কথা বলি। যিনি ধোকা দিচ্ছেন, তাকেও সত্যটা দেখাই এবং যাকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে, তাকেও সত্য বলি। যখন কেউ পরকীয়ায় জড়ান, তখন তার মনে হয়ে আমি আমার স্ত্রী বা স্বামীকে আর ভালোবাসি না! অথচ মনের কুঠুরিতে ভালোবাসা কিন্তু থেকেই যায়। আমি সেই ভালোবাসার কথাই ওদের মনে করিয়ে দিই।
তা নিয়ে তাদের দাম্পত্যে কলহ হয়। রেস বলেন, ‘তখন আমি কোনো মনোবিদের কাছে যাইনি। নিজেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভাগ্যবশত আমার বন্ধুরা আমাকে পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। তারাই আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, আমি ভুল কাজ করছি। তার পর আমি এই নিয়ে নানা পড়াশোনা করি। বুঝি, একমাত্র লোকের সঙ্গে কথা বলেই এর সমাধান সম্ভব। তাই আমি দম্পতিদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সমস্যা শুনি, তার পর সমাধান দিই।’