
গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে (জিটিএ) আগামী বছর বাড়ির দাম গড়ে প্রায় ১২ শতাংশ কমতে পারে। রি/ম্যাক্স কানাডার ২০২৩ সালের হাউজিং মার্কেট আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জিটিএর বিদ্যমান ভারসাম্যপূর্ণ বাজার পরিস্থিতি আগামী বছরেও অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বছর বাড়ির দাম ১১ শতাংশ বেড়ে গড়ে ১২ লাখ ৩ হাজার ৯১৬ ডলারে দাঁড়ায়। ২০২০ সালে জিটিএতে বাড়ির গড় দাম ছিল ১০ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৫ ডলার। তবে ২০২৩ সালে আবাসিক বাড়ির দাম ১১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১০ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৪ ডলারে দাঁড়াতে পারে। এ হিসাবে দাম কমবে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ডলার।
বাড়ির দাম কমতে থাকায় রে/ম্যাক্স বলছে, নতুন বছরে আবাসন বাজারে মূলত তিন্িট প্রবণতা দেখা যাবে। এগুলো হলো সুদের অব্যাহত হার বৃদ্ধি ও সংশ্লিষ্ট মূল্য সমন্বয়। অর্থনৈতিক শ্লথগতির কারণে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি এবং ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আবাসন বাজারে সম্পৃক্ত হওয়ার নতুন সম্ভাবনা।
রে/ম্যাক্স রিয়েলট্রন রিয়েল্ট্রির ব্রোকার ক্যামেরন ফোর্বস বলেন, এটা সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য ভালো সংবাদ। কারণ, বাড়ি ক্রয়ে প্রতিযোগীর সংখ্যা কমে যাবে, বাড়ির মূল্য হ্রাস পাবে এবং আবাসন বাজারে পছন্দের সুযোগ বাড়বে। এতে করে বিক্রেতারাও সুবিধঅ পাবে। লিস্টিংয়ের প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং উপশহরে স্থানান্তরিত হওয়ার সক্ষমতা তৈরি হবে।
বর্তমানে সবচেয়ে কাক্সিক্ষত নেবারহুডটি নির্ভর করে এর অবস্থান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং গণপরিবহন প্রাপ্যতার ওপর। যদিও সুদের হার বুদ্ধি অব্যাহত থাকায় জিটিএতে সার্বিক আবাসন বাজারকে মন্থরই করবে। এর প্রভাব পড়বে প্রথমবারের ক্রেতাদের ওপর। কারণ, ক্রয়ক্ষমতার ঘাটতির কারণে অনেকেই বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্নটা জমিয়ে রাখছেন।
অর্থনৈতিক চাপের কারণে টরন্টোর বিলাসবহুল আবাসন বাজারও আগামী বছর মন্থরই থাকবে। রে/ম্যাক্স কানাডার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার আলেক্স্যান্ডার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জিটিএর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়াটা জরুরি। বাড়ির মূল্য ও দামের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের বসন্ত থেকে ২০২২ সালের গোড়ার দিকের মহামারিকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখতে হবে। আমরা যেহেতু কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে তাই এই অঞ্চলের জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে ওই সময়ের ভিত্তিতে তা মূল্যায়ন করাটা জরুরি।
জিটিএর বাইরে ডারহাম রিজিয়ন, লন্ডন, কিচেনার-ওয়াটারলু, ব্যারি ও জর্জিয়ান বে এরিয়াতেও আগামী বছর বাড়ির দাম গড়ে ২ থেকে ১৫ শতাংশ কমবে। তবে হ্যামিল্টন, বার্লিংটন, ওকভিল, ব্র্যাম্পটন, মিসিসোগা, নায়াগ্রা ও পিটারবোরোর মতো কিছু এলাকায় ২০২৩ সালে বাড়ির দাম গড়ে ২ থেকে ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। অর্থাৎ, হ্যাল্টিন-বার্লিংটন, ব্র্যাম্পটন, মিসিসোগা ও নায়াগ্রার আবাসন বাজার হবে ক্রেতা অনুকূল। অন্যদিকে সাডবারি, মাস্কোকা, ডারহাম ইয়র্ক রিজিয়ন, হ্যালিবার্টন, অটোয়া, পিটারবোরো ও কাওয়ারথাস হবে বিক্রেতা অনুকূল আবাসন বাজার।