
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লাঙ্গল প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এ নির্বাচনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। গতকাল রাতে জাপা প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোট প্রদানের হার ৬৫.৮৮ ভাগ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে ২২৯টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬। তিনি এ নির্বাচনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।
এ ছাড়া ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকে আমিরুজ্জামান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন হাতি প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ ভোট বেশি পেয়ে নগর পিতা হলেন মোস্তফা। গতকাল রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়য়তন থেকে ২২৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন।
বিজয়ী হয়ে জাপা প্রার্থী মোস্তফা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গত ৫ বছরে যেসব উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি তা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সমাপ্ত করব। বিজয়ের জন্য তিনি নগরবাসী, দলীয় নেতা-কর্মীসহ দলের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইভিএমে ক্রটি না থাকলে তিনি আরও বেশি ভোটে বিজয়ী হতেন। ইভিএমের ধীরগতি ও ক্রটির কারণে অনেকেই ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
এদিকে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নিজ কেন্দ্রে হেরেছেন। লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র তার বাড়ির নিকটে। ওই কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়েছেন। ওই কেন্দ্রের ফলাফলে লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছেন ১৬৬ ভোট। একই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাতি মার্কা পেয়েছে ১৪৪ ভোট। আর নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৯২ ভোট।
উল্লেখ, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। দ্বিতীয়বার ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বরের নির্বাচন সেই প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নগরপিতার চেয়ারে বসেন মোস্তফা। এ সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৬২ হাজার ৪০০, ধানের শীষে বিএনপির প্রার্থী ৩৫ হাজার ১৩৬, হাতি প্রতীকে জাপার বিদ্রোহী প্রার্থী ২ হাজার ৩১৯, হাতপাখার প্রার্থী ২৪ হাজার ৬, মই মার্কার প্রার্থী ১ হাজার ২৬০ এবং আম মার্কার প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮১১ ভোট।