8.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

‘আমার মনে হয়েছে আমি তাদের কাছে একটি মোটা দানব ছিলাম’

‘আমার মনে হয়েছে আমি তাদের কাছে একটি মোটা দানব ছিলাম’ - the Bengali Times
ব্রাজিলের স্থূলকায় মডেল জুলিয়ানা নেহেম

বিমানে উঠতে দেওয়া হলো না ব্রাজিলের স্থূলকায় মডেল জুলিয়ানা নেহেমকে। সম্প্রতি কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লেবাননের বৈরুত থেকে দোহা যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে যান জুলিয়ানা। সেখানেই ঘটে এ বিপত্তি।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে লেবাননে গিয়েছিলেন জুলিয়ানা। যাওয়ার সময় এয়ার ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে কোনোরকম সমস্যা হয়নি তার। ২২ নভেম্বর দোহা হয়ে ব্রাজিলে ফেরার পথে তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।

- Advertisement -

৩৮ বছর বয়সি মডেল জুলিয়ানা এ বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। বৈরুত থেকে দোহা যাওয়ার কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ছিল এটি। বিমানের একজন কর্মী আমাকে বলেন, এই ফ্লাইটে উঠতে হলে ফার্স্টক্লাসের টিকিট কাটতে হবে। না হলে উঠতে পারবেন না। আর ফার্স্টক্লাসের টিকিটের মূল্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার। ফার্স্টক্লাসের আসন আকারে বড়। যা আমার সঙ্গে ফিট হবে। তা ছাড়া আমি যে ১ হাজার ডলার দিয়ে টিকিট কেটেছি, সে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। এত বড় কোম্পানির বৈষম্যমূলক এমন আচরণ খুবই লজ্জাজনক। আমি মোটা কিন্তু অন্য সবার মতো স্বাভাবিকা।’

এ পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জুলিয়ানা এবং কোনো বাড়তি অর্থ না দিয়ে অন্য একটি ফ্লাইটে পরিবারসহ ব্রাজিলে ফেরেন এই মডেল। জুলিয়ানা ব্রাজিলে ফিরে আদালতে মামলা করেন। গত ২০ ডিসেম্বর এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
বিচারক রেনাটা মার্টিনস বলেন, ‘মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জুলিয়ানা। এজন্য ১ বছর ধরে সপ্তাহে সেশনপিছু ৭৮ ডলার ব্যয়ের থেরাপি প্রয়োজন। এই চিকিৎসা বাবদ কাতার এয়ারওয়েজ মোট ৩ হাজার ৭১৮ মার্কিন ডলার জুলিয়ানার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আদালতের এই অভিনব রায়ের পরই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যান জুলিয়ানা। স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় দারুণভাবে আহত হয়েছেন জুলিয়ানা। বলেন, ‘আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। এজন্য নিজেকে দোষারোপ করেছি। অনেকবার আমি আমার মায়ের কাছেও ক্ষমা চেয়েছি। মাকে বলেছিলাম, আমার জন্য আপনি বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু মা আমাকে বারবার বলেছেন, এতে তোমার কোনো দোষ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমি তাদের কাছে মানুষ ছিলাম না। আমি একটি মোটা দানব ছিলাম, যে বোর্ডে উঠতে পারিনি। এটা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ছিল। এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা কখনো কল্পনাও করিনি।’

তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে কাতার এয়ারওয়েজ। সংস্থাটির দাবি, জুলিয়ানার এক সঙ্গী কোভিড বিধি ঠিকমতো মানছিলেন না। সে কথা তাকে বলতেই জুলিয়ানা সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এবং খারাপভাবে কথা বলেছেন। সেই কারণেই তাকে প্লেনে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles