
শহীদ খোন্দকার টুকু ও প্রজ্ঞা লাবণী দু’জনই আমার কাছের মানুষ। আমার স্ত্রীর পরমবন্ধু হচ্ছে প্রজ্ঞা। চট্টগ্রামে আমার বালককালের বন্ধু ছিলো কাজী আরিফ। প্রজ্ঞা টুকু আবৃত্তি ও গানের যুগলবন্দী এটি তৃতীয় আয়োজন। গত দ্বিতীয় তিথি টরন্টো বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ে এবার অনেক বড় রয়েল কানাডিয়ান লিজিয়ন হলে জমজমাট আয়োজন। প্রবাসের নড়বড়ে অনুষ্ঠানের চেয়ে গোছানো পরিশীলিত। টরন্টোর মাইনাস শীতের রাতেও তাই হল ভর্তি দর্শক শ্রোতায় জমজমাট।
আজ বাংলাদেশে ও বিশ্বজুড়ে বাংলা আবৃত্তি যে পর্যায় গেছে যতটুকু প্রিয়তা পেয়েছে তার জন্যে বড় অবদান কাজী আরিফ ও প্রজ্ঞা লাবণীর। আমি দেখেছি তারা কত সততার সঙ্গে পরিশ্রমের সাথে উচ্চারণ, আবৃত্তি শাসন শেখাতো। আজ নামী সফল অনেক আবৃত্তিকারই তাদের ছাত্রছাত্রী। আমার মনে আছে বাংলা নববর্ষের আগের দিন কিংবা বাংলা বছরের শেষদিনে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত তাদের ইন্দরা রোড বাড়িতে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবে নাচে গানে খাওয়া দাওয়াতে গমগম করতো। তারাই নতুন করে ঘোরোয়া ভাবে উৎসবটি প্রথম শুরু করেছিল।
ঢাকা শহরের যত শিল্পী সাহি্ত্যিক অভিনেতা অভিনেত্রী আসেননি এমন নাম আজ মনে করা আমার পক্ষে মুস্কিল। এমনকি একবার তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাও এসেছেন। ভিটিওটি আমারই ফোনে কাঁপা হাতে করা যেহেতু বেশ কয়েকজন যারা যেতে পারেনি তারা অনুরোধ করে ছিলেন অল্পস্বল্প ফোনে রেকর্ড করলে তাদের পাঠাতে।
স্কারবোরো, কানাডা