
আরসিএমপির জন্য যোগাযোগ সরঞ্জাম ক্রয়ের একটি কাজ চীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি কোম্পানিকে দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মন্ট্রিয়লে বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচার করে রেডিও-কানাডা। হাইটেরা কমিউনিকেশন্সের সহযোগী অন্টারিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে ফেডারেল সরকার কীভাবে কাজ দিল সেই গল্প প্রচার করে তারা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে হাইটেরা কমিউনিকেশন্সকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকারের নিরাপত্তা সংস্থার একটি অংশ সরকার হিসেবে, কানাডিয়ান হিসেবে বিদেশি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। একই সঙ্গে আরসিএমপির মতো সিভিল সার্ভিসের আরেকটি অংশ আবার প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করছে। বিষয়টি আমার কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হচ্ছে। বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি। কিসে আমাদের যোগাযোগ প্রযুক্তি নিরাপদ হয় সেটা খুঁজে দেখছি। চুক্তি স্বাক্ষরকারী স্বাধীন পাবলিক সার্ভিসের সত্যিকারের কিছু প্রশ্ন রয়েছে আমাদের। এই পরিবর্তন যাতে জারি থাকে সেটা নিশ্চিত করবো আমরা। সেজন্য এখনই সবচেয়ে ভালো সময়।
বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যে প্রতিবেদনটি সামনে আসে। এর আগে চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হাইড্রো-কুইবেকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ফিল্টারিং ব্যবস্থা সরবরাহে অটোয়া সিনক্লেয়ার টেকনোলজিসের সঙ্গে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৭ ডলারের চুক্তিটি করে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। আরসিএমপির স্থলভিত্তিক রেডিও যোগাযোগকে নিরাপদ করা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য।