
দেশের ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে অটোয়ার প্রতি সর্বসম্মত দাবি জানিয়েছেন কানাডার প্রিমিয়াররা। ১৩টি প্রদেশ ও অঞ্চলের সব প্রিমিয়ার গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময় এবং আমাদের নায়ক প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণকারীরা অপেক্ষা করতে পারছেন না।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশের কনস্টেবল ২৮ বছর বয়সী গ্রেগ পিয়েরজালা গত ডিসেম্বরে খুন হওয়ার পর বর্ধিত দাবির মধ্যে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, খুনের ঘটনায় ফার্স্ট-ডিগ্রি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির একজন র্যান্ডাল ম্যাকেঞ্জির পৃথক একটি মামলায় জামিন নামঞ্জর করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রিভিউয়ে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। গত আগস্টে আদালতে হাজির না হওয়ায় ম্যাকেঞ্জির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরেয়ানা জারি করা হয়েছিল।
প্রিমিয়ারদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জামিনে বেরিয়ে এসে যাতে আবারও অপরাধ করতে না পারে সেজন্য জামিন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার দাবি জোরালো হচ্ছে। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি যেকোনো ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে দূরে রাখা বিচার ব্যবস্থার মৌলিক প্রয়োজন। ফৌজদারি আইনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এটা শুরু হতে পারে। এই পরিবর্তনের এখতিয়ার রয়েছে কেবল ফেডারেল সরকারের।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নোভা স্কশিয়ায় গত অক্টোবরে সারাদেশের বিচার ও জননিরাপত্তা মন্ত্রীদের বৈঠকে এ বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়। বৈঠক থেকে কানাডার জামিন ব্যবস্থায় সংস্কারের ঐকবদ্ধ দাবি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিচার ও জননিরাপত্তা মন্ত্রীরা বলেন, ফেডারেল সরকার থেকে এ ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ তারা লক্ষ্য করেছেন। একই অপরাধ বারবার করা এবং অপরিচিত লোকের আকস্মিক হামলা যে দেশজুড়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
কানাডিয়ান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট টম স্টামাটাকিস দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে এ মাসের গোড়া দিকে বলেছিলেন, পিয়েরজালার মৃত্যু সংস্কারের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। কিছু সংখ্যক একাধিকবার অপরাধ সংঘটনকারী আছে, যারা মুক্তির পর সমাজের জন্য ধারাবাহিকভাবে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সমস্যাটি সমাধানে আমাদের সংস্কার প্রয়োজন।
তবে জামিন ব্যবস্থায় সংস্কারই একমাত্র সমাধান নয় বলে মনে করেন অন্যরা। তারা বলছেন, অপরাধীদের এ ধরনের আচরণের মূল কারণ খুঁজে দেখতে আরও শক্তি ব্যয় করতে হবে।