
ফরিদপুরের সালথায় পরকীয়ায় হাতেনাতে আটক হওয়ার পর বিয়ের দাবিতে এক বিধবা নারী প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো সমাধান হয়নি।
জানা গেছে, অনশনকারী ৩২ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী ৬ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করেন তিনি। ওই নারী বিধবা হওয়ার সুযোগ নেয় প্রতিবেশী তিন সন্তানের জনক একই গ্রামের মৃত ইসরাইল মাতুব্বরের ছেলে জাহিদ মাতুব্বর (৪০)। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর ঘরে আসেন জাহিদ। বিষয়টি এলাকার লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে পাকড়াও করে হাতেনাতেই ধরে ফেলেন। ধস্তাধস্তি করে জাহিদ পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাত ২টার দিকে ওই নারী জাহিদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ ঘটনায় উভয় পরিবার বিপাকে পড়েন।
অনশনকারী নারী বলেন, এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। একমাত্র জাহিদের সঙ্গে আমার বিয়ে হলেই এর সমাধান হবে। অন্যথায় আমি কোথাও যাবো না। এখন যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে, মরণ ছাড়া আমার কোনো পথ খোলা নেই।
অভিযুক্ত জাহিদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমার সঙ্গে ওই নারীর কোনো সম্পর্ক নাই। স্থানীয় গ্রাম্য দলপক্ষের কারণে ওই নারীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সালথা থানার এসআই সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।