
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ দিকে নির্বাচনের জন্য জাস্টিন ট্রুডো এ মাসেই সংখ্যালঘু সরকার ভেঙে দিতে পারেন বলে জল্পনা আছে। বৃহস্পতিবারও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে বারবার তা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, তার সরকারের সব মনোযোগ এখন মহামারি মোকাবেলা ও ভ্যাকসিন গ্রহণে কানাডিয়ানদের আহ্বান জানানোর দিকে। এদিকে, উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা জাগালেও সম্ভাব্য ফেডারেল নির্বাচনে ভোটাররা নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, সরাসরি ভোটদানের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রোটোকলগুলো চালু করতে হবে। সাম্প্রতিক প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে যেমনটা করা হয়েছে। এছাড়া কানাডায় ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হারও বাড়তি সুরক্ষা দেবে। আর যারা ঝুঁকি মনে করবেন তাদের জন্য তো মেইলে ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছেই।
ব্রিফিংয়ে ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, নিরাপদে ভোটগ্রহণের উপায় অবশ্যই আছে। মেইলের সুযোগ থাকলে ভোটাররা সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। এটা বড় ধরনের বিকল্প বলে আমি মনে করি। তবে নিরাপদে সরাসরি ভোটিংয়েরও ব্যবস্থা করা সম্ভব।
ট্যামের ডেপুটি ডা. হাওয়ার্ড এনজু বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা বিশেষ করে সারাদেশ ভ্রমণের সময় রাজনীতিবিদদের উচিত স্থানীয় ও প্রাদেশিক স্বাস্থ্য প্রোটোকলগুলো মেনে চলা। প্রোটোকল মেনে চলা উচিত ভোটারদেরও। আমার মতে, আমরা যদি সরাসরি বা অন্য কোনোভাবে ভোট দিতে চাই তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো বিধিবিধান ইস্যু হতে পারে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন হলে ভোটও হবে।
প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা স্টিফানি পেরো এর আগে দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, চলমান মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও একটি নিরাপদ ও বিশ^াসযোগ্য ফলাফল দিতে সক্ষম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইলেকশন্স কানাডা তৈরি।