
আলোকচিত্রী রূপম চৌধুরীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তব হলো।২৩শে ফেব্রুয়ারী বেঙ্গল শিল্পালয়ে তার তোলা ২৪০ জন শিল্পী ও শিল্প জগতের ব্যক্তিত্বদের ছবি নিয়ে দারুণ প্রোডাকশানের স্বাস্থ্যবান বইটির মোড়ক উন্মোচন হলো। কাতারে কাতার হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব সবাই বই হাতে লাইন দিয়ে দাঁড়ালেন। শুধু বরণ্য শিল্পী রফিকুন্নবী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আর বরণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলামই যথেষ্ঠ ছিলেন।
সামনের সারিতে বসা ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে সবাই এসে অনুরোধ করাতেও তিনি কাতারী হলেন না। রূপমের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমার ছবিও বইয়ে অন্তরভুক্ত করার জন্যে।রূপম চৌধুরীর স্বনামধন্য সব বড় ভ্রাতা আশিষ চৌধুরী,স্বপন চৌধুরী,মিলন চৌধুরী,তপন চৌধুরী সবাই আমার ঘনিষ্ঠজন। তবে মূলত মিলন হচ্ছে আমার বন্ধু। গত চল্লিশ বছর আগে থেকে তাদের গোটা পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। এক সময় রূপমের মা মিলন আর আমার জন্যে ভাত বেড়ে নিজেও না খেয়ে অপেক্ষায় থাকতেন যে এই পাগল বহিমিয়ান ছেলে দুইটি কখন আসবে,পেট ভরে দু’টোভাত খাবে। সেই সময়,মা,মিলন আর সকালের কুয়াশাছন্ন চট্টগ্রামের ডিসি হিল নিয়ে একটি গল্প লিখে ছিলাম।নাম ‘ফিরে যাওয়া’। তখনকার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কন্ঠস্বর’এ ছাপা হয়ে ছিলো।
মিলনের মধ্যে এমন সব রহস্যময়তা ছিলো যার সামান্যতম গল্পে এনে সায়ীদ ভাইয়ের প্রিয় লেখক হয়ে গেলাম। পরের সংখ্যায় তিনি আরেকটি গল্প চাইলেন। এবার বাস্তবসম্মত ভালো গল্প লিখতে হবে ভেবে আমার আরেক মেন্টর বরণ্য লেখক বিপ্রদাশ বড়ুয়ার শরনাপন্ন হলাম। তিনি আমাকে নিউ পতেঙ্গার জেলে পাড়ার সর্দারের ছেলের নৌকায় মধ্য বঙ্গপোসাগরে নিয়ে গেলেন। চার ঘন্টা অনবরত ঢেউয়ের দোলায় বমি করে ঠিক হয়ে বিস্তারিত নোট করে লিখে ছিলম ‘মণিন্দ্র অসুস্থ’ সেই গল্পও আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ‘কন্ঠস্বরে’ ছেপে ছিলেন।
এসব কথা বল্লাম যেহেতু মিলনকে নিয়ে লিখে গদ্য লেখক হিসেবে সন্মান পাওয়া আমার শুরু হয়ে ছিলো বলে। আবদুল মান্নান সৈয়দের মত কবি লেখকেরা গ্রীন রোডে ডেকে পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন- জীবনে যা ছাড়ার ছেড়ে দেন,শুধু গদ্য লেখা ছাড়বেন না! তাঁর কথা রেখেছি এখন গল্প লেখা খুবই কম হলেও ফেসবুকে প্যাঁচাল ঠিকই লিখি।
টরন্টো, কানাডা