
বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন এমন অভিযোগকে ঘিরে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাঙকে কড়া কথা শুনিয়েছেন। নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জোলি বলেন, কানাডিয়ান গণতন্ত্রে চীনের হস্তক্ষেপ কানাডা মেনে নেবে না।
এক বিবৃতিতে মেলানি জোলি বলেন, আমাদের আঞ্চলিক অখ-তা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয় এমন কোনো কিছু আমরা কখনোই মেনে নেবো না।
গত দুই নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে চাপের মধ্যে রয়েছে লিবারেল সরকার। নিরাপত্তা সূত্রের মাধ্যমে ফাস হয়ে যাওয়া তথ্য সম্প্রতি গণমাধ্যমে চলে আসায় বিষয়টি সামনে এসেছে। সেখানে উপস্থিত কানাডিয়ান কর্মকর্তারা বলেন, জোলি কিনের দিকে এগিয়ে যান এবং তাদের মধ্যে ২০ মিনিটের মতো কথা হয়।
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, হস্তক্ষেপ নিয়ে গ্লোবাল নিউজ ও গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনের নিন্দা না করায় জোলিকে ভর্ৎসনা করেন কিন। কিন তাকে বলেন, এগুলো বিশ^াসযোগ্য কোনো অভিযোগ নয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষার স্বার্থে গুজব ছাড়ানো প্রতিরোধ করা উচিত।
জোলির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, অটোয়া চীনের রাষ্ট্রদূতদের আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন মেনে নেবে না। চুক্তিতে স্থানীয় রাজনীতিতে কূটনীতিকদের সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোলি তার বক্তব্যে ঋজু, কঠোর ও দ্ব্যর্থহীন ছিলেন। এবং গত হেমন্তে লিবারেলরা যে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ঘোষণা করেছে তার ভিত্তিতেই কথা বলেন। ওই ঘোষণায় চীনের প্রভাবমুক্ত হতে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির কথা বলা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর দুজনের মধ্যে এটা ছিল প্রথম বাক্যালাপ এবং দুজনেই যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। কিনের পূর্বসূরীর সঙ্গে জোলি গত নভেম্বরে কথা বলেন।
জি২০ভুক্ত শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত বৈঠকে এই কথোপকথন হয় তাদের মধ্যে। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে কোনো ধরনের মতৈক্য ছাড়াই বৈঠকটি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
গত বছর বালিতে গৃহীত জি-২০ ঘোষণাপত্রের দুটি অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। অনুচ্ছেদ দুটিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ মানুষের ব্যাপক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বৈশি^ক অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলছে এই যুদ্ধ। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক আইন-কানুন সমুন্নত রাখা জরুরি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.