
স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের একজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সমকামী চ্যাটিং (গে-চ্যাটিং) অ্যাপসের সদস্য। সেই অ্যাপসের অনুসারী ছিলেন স্থপতি ইমতিয়াজও।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মিল্লাত হোসেন মুন্না ওরফে মুন (১৯), এহসান ওরফে মেঘ (২৩) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধি চক্রের সদস্য। এদেরকে পৃথক তিন জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের দল।
গ্রেপ্তারকতৃদের মধ্যে মুন্নার জবানবন্দিতে উঠে আসে হত্যা ও সমকামীতার নামে ফাঁদ পেতে ভয়াবহ প্রতারণার তথ্য। মুন্না জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, অ্যাপসের মাধ্যমে আলিফের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। গত ৬ মার্চ তাদের দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু আরাফাত ৭ মার্চ দেখা করার কথা জানায়। ৭ মার্চ সেখানে যাওয়ার পর ফাঁদ পেতে ইমতিয়াজকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। তারা ছবিও তোলেন। অর্থও দাবি করা হয়। কিন্তু ইমতিয়াজের কাছে টাকাই ছিল মাত্র ২০০। নগদ অর্থ না পেয়ে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করা হয় ইমতিয়াজকে।
তিনি আরো বলেন, মুন্না ও আলিফ ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করতেন। ব্লাকমেইলের কাজে ব্যবহার করা হতে মেঘ হিজড়াকে। অ্যাপসটিতে মুন্না মুন নামে সমকামী হিসেবে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
ডিবি সূত্র জানায়, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আরাফাতের নির্দেশে ব্যাপক মারধর করা হয় ইমতিয়াজকে। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ মারা গেলে তার মরদেহ মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যান আরাফাত ও তার ঘনিষ্ঠ সমকামী মুন্না, মেঘ হিজড়া ও আলিফ।