
বাইরে প্রচণ্ড গরম। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোকের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদেরও দিকেও খেয়াল রাখা যায়।
হিট স্ট্রোকের ১০ লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হলো
তীব্র মাথাব্যথা : প্রচণ্ড গরমে মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন বাড়র পারে। এটি হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।
প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা, ঘাম : হিট স্ট্রোকের আগে ওই ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে, সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব করতে পারে। শরীর নিজেকে ঠাণ্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে।
দ্রুত হৃদস্পন্দন : হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে।
হাইপারভেন্টিলেশন : শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি, বিভ্রান্তি বা প্রলাপ বকা : অতিরিক্ত তাপের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ পর্যন্ত বকতে পারে।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ কথা জড়িয়ে যাওয়া। কোনো ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করতে পারে।
পেশীতে ব্যথা : হিট স্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো পেশী ব্যথা। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : অতিরিক্ত উত্তাপে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। শরীরে আরও ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
ঘাম না হওয়া : হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
গরমে বাড়ি থেকে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হয়। তবে হিট স্ট্রোক এড়াতে যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। পানি ও পানি জাতীয় খাবারের মাধ্যমে হাইড্রেটেড থাকুন। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন।