
একজন টরি এমপি তার সিনিয়র কলিগের কাছে ফোন করে বললেন ব্রথেলে আটকা পড়ে আছি। কাপড় চোপড় খুঁজে পাচ্ছি না। কিভাবে এখান থেকে বের হব বুঝে উঠতে পারছি না। ঘড়িতে তখন বাজে ভোর চারটা। ডেইলি মেইল
এ ঘটনা ঘটেছিল তখন যখন বরিস জনসন ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ফোনে টরি এমপি মহোদয়কে কিছুটা মাতাল বলেই মনে হচ্ছিল। অন্তত তার কণ্ঠস্বর ওভাবেই জড়িয়ে আসছিল। সে এও জানায় যে কিভাবে ব্রথেলে সে গেল তাও ঠাহর করতে পারছেন না। ভোর ৪টায় সিনিয়র কনজারভেটিভের ফোন বেজে উঠলে, বোধগম্য আতঙ্কের সাথে তিনি মনে করেন কোনো খারাপ সংবাদ হতে পারে। লাইনের অন্য প্রান্তে একজন অস্বস্তিকর টোরি এমপি সাহায্যের জন্য ভিক্ষা চান। জানান, ‘আমি একটি পতিতালয়ে আছি’, তার গলা আধো ঘুমে জড়িয়ে আসছিল। এবং মাতলামির মত জড়িয়ে আসা কণ্ঠস্বরে তিনি জানান, আমি জানি না আমি এখানে কিভাবে এসেছি এবং আমি আমার জামাকাপড় খুঁজে পাচ্ছি না।’
এধরনের আশ্চর্যজনক কল, যা বরিস জনসনের প্রশাসনের শেষভাগে করা হয়েছিল, এরপর ব্রথেলে কোনো এমপি আটকা পড়তে পারে তার একটি সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর টোরি সূত্র ঘটনাটি নিশ্চিত করলেও তবে এমপির পরিচয় সম্পর্কে চুপচাপ রয়ে যায়।
সাম্প্রতিক তথাকথিত ‘পেস্টমিনস্টার’ ঘটনার একটি সিরিজের জন্য হার্ড-ড্রিংকিং লাইফস্টাইলকে দায়ী করে ওয়েস্টমিনিস্টারের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে বিতর্কের আরেকটি তরঙ্গের মধ্যে ব্রথেলের ঘটনাটি সামনে এসেছে। গত সপ্তাহে, মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে যে তারা টোরি এমপি জুলিয়ান নাইটের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত করছে না, যাকে এই মামলায় সংসদীয় দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। টোরি হুইপস অফিস বলেছে যে ‘আরও অভিযোগের পর’ মিঃ নাইটকে টরি এমপি হিসাবে পুনরুদ্ধার করা হবে না। মিঃ নাইট দাবি করেছেন যে বিষয়টিকে তার বিরুদ্ধে ‘হুইপস’ অফিস একটি জাদুকরী শিকার চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় বলে মনে হচ্ছে।
গত বছর ৫৬ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মোট ৭০টি অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সংসদ সদস্যরা এবং তাদের কর্মীদের জীবনযাত্রার সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার উপায়গুলি পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে বার্নআউট, কর্মচারিদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অসদাচরণের মত ঘটনা রয়েছে।