
ডাউনটাউন টরন্টোর রিপলে’র অ্যাকুয়ারিয়াম অব কানাডা আসন্ন প্রদর্শনীতে নতুন এক বিপন্ন প্রাণীকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে। ভ্যানকুভার অ্যাকুয়ারিয়াম থেকে গত সপ্তাহে ১৩০ কেজি ওজনের বিশাল গ্রিন সী টার্টলকে এখঅনে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে টার্টলটি ভ্যানকুয়ার অ্যাকুয়ারিয়ামে বাস করছে।
টরন্টো অ্যাকুয়ারিয়ামে স্পট ও চিউয়ি নামে দুটি গ্রিন সী টার্টল আগে থেকেই রয়েছে এবং স্কুনা তাদের সঙ্গেই থাকবে। অ্যাকুয়ারিয়ামের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী ডেঞ্জারাস লাগুনে গ্রিন স্কুনাকে দেখা যাবে।
এয়ার কানাডা অ্যানিম্যাল ট্রান্সপোর্ট টিমের সহায়তায় স্কুনাকে আনা হয়েছে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের একটি তাপ নিয়ন্ত্রিত কার্গো হোল্ডে করে কচ্ছপটিকে আনা হয়েছে।
রিপলে’র অ্যাকুয়ারিয়ামের মহাব্যবস্থাপক পিটার ডোয়েল এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, স্কুনা আমাদের কাছে পৌঁছেছে এবং সে ভালো আছে। আমরা এতে দারুণ খুশি। এসব কচ্ছপের জন্য বিশ^মানের সেবা দিতে পারায় রিপলে’স অ্যাকুরিয়াম অব কানাডা গর্বিত। এসব প্রাণীর বৃদ্ধিতে কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন আগ্রহী দর্শনার্থীদের সে ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া আমরা অব্যাহত রাখবো।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্কুনার’স পাসের নামানুসারে স্কুনার নামকরণ করা হয়েছে। ঠান্ডার কারণে তার প্রাকৃতিক আবাসে ফিরতে না পারায় স্কুনারকে উদ্ধার করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভেশন অব নেচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস ১৯৮২ সালে গ্রিন সী টার্টলকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে পিন্ন ঘোষণা করে। নিকট ভবিষ্যতে এটি বিপন্ন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় সে সময়।
ইউএস ফেডারেল এনডেঞ্জারড স্পিসেস অ্যাক্টের অধীনে যক্তরাষ্ট্র ২০০৬ সালে প্রজাতিটিকে বিপন্নতা থেকে হুমকিতে রয়েছে বলে পুনরায় শ্রেণিকৃত করা হয়। ১৯৭৮ সালে এটিকে বিপন্নতার তালিকায় শ্রেণিভুক্ত করা হয়।