
১৯৯৯ সালে টরন্টোতে নুতন করে পড়াশুনা শুরু করি। সেনেকা, জর্জ ব্রাউন ও সেন্টেনিয়াল কলেজ টরন্টো শহরের তিনটি কলেজ। ভর্তির আগে সবগুলো কলেজই সরেজমিনে পরিদর্শন করি। তখন ডাউন টাউনে থাকতাম। জর্জ ব্রাউন কলেজের ক্যাসালোমা ক্যাম্পাসে শেষ পর্যন্ত ভর্তি হই, এটা ডাউন টাউনের কলেজ। সে সময় সবগুলো কলেজেই বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী ছিল হাতে গোণা।
আজ ২৪ বছর পরে এসব কলেজে শত শত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী। যদিও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশীদের সংখ্যা এখনো অনেক কম। যাইহোক আমাদের কমিউনিটির সবার প্রিয়, সেনেকা কলেজের প্রাক্তন গ্রাজুয়েট ও আমার অত্যন্ত স্নেহের আসাদুন নুরের আমন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার ২৭শে এপ্রিল সন্ধায় অনেক গুরুত্বপুর্ণ কাজ ফেলে সেনেকা কলেজের বাংলাদেশ ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ আড্ডায় গিয়ে সত্যিই অভিভূত হলাম। হল ভর্তি বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী। সবাইকে দেখে খুব মায়া লাগছিল। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অনেকেই তরুণ যুবার সন্ধিক্ষণে বয়স, বাবা মা আত্মীয় পরিজন ছেড়ে এই বিদেশ বিঁভুইয়ে পড়তে এসেছে! স্হানীয় রেষ্টুরেন্ট আড্ডা থেকে খাবার আনিয়েছে। দেশে থাকলে নিজেদের বাড়ীতে কত রকম পদের খাবার এই ঈদের দিনে খেত, আর আজ এখানে নিজেরা নিজেরা আনন্দ ভাগ করে নেবার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছিল সবাইকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে এসে একসাথে বসে একবেলা খেতে পারতাম যদি! ওদের পরিবেশিত নাচ গান কথামালা খুবই এনজয় করলাম। তাড়া থাকার কারণে ওদেরকে ফেলে রেখেই ওদের পরিবেশিত ডিনার খেয়ে চলে আসতে হলো। ওদের অনেকেই গ্রাজুয়েশন শেষ করে ফেলেছে, এবার চাকুরী খোঁজার পালা।
আমি বিশ্বাস করি ওরা এতেও সফল হবে, দ্রুতই কানাডায় সুন্দরভাবে সেটেল হবে ইনশাল্লাহ। তবে আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলেরই উচিত এই সব ছেলে মেয়েদেরকে যথাসম্ভব সাহায্য সহযোগীতা করা। আমাদের কমিউনিটির অল্প সময়ে নাম করা ব্যরিষ্টার আরিফ, রিয়েলটর ও সাংবাদিক মাহাবুব ওসমানী, বিজনেস কনসালটেন্ট আদনান শেইখ উপস্হিত সকলকে সেই আশ্বাসই দিয়েছেন। মেধাবী এইসব তরুণ যুবকদের সাথে আনন্দ করে কিছুটা সময় কাটাতে পেরে আমিও খুব ভাল ফিল করেছি। ওদের কারো জন্যে সামান্য কোন উপকার করতে পারলেও নিজেকে ধন্য মনে করবো। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এ্যাট সেনেকা কলেজের সকলের জন্যে রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। গড ব্লেস!
স্কারবোরো, কানাডা