
কানাডা রোববার সুদানে কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় ও মিত্র দেশগুলো কানাডিয়ান কূটনীতিকদের উদ্ধার করছে এমন খবরের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিলো অটোয়া।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বলেছে, কানাডিয়ান কূটনীতিকরা সুদানের বাইরে নিরাপদ কোনো স্থান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে এখনো সুদানে আটকেপড়া কানাডিয়ানদের সহায়তার চেষ্টা চলছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ নামে পরিচালিত শক্তিশালী প্যারামিলিটারি গ্রুপের মধ্যে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক মানুষ রয়েছে ২৬৪ জন। এ ছাড়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি। দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর মাত্র ৯দিনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত সুদানে নিবন্ধিত কানাডিয়ান ছিলেন ১ হাজার ৫৯৬ জন।
সুদানে কানাডার সাবেক শীর্ষ কূটনীতিক নিকোলাস কঘলান বলেন, তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, অনেকেই রয়েছেন, যারা দ্বৈত নাগরিক। বিদেশে অবস্থানরত কানাডিয়ানদের অনেকেই নিবন্ধনকে অহেতুক ঝামেলা বলে মনে করে থাকেন। বাকিরা মনে করেন, নিবন্ধিত হলে তাদের তথ্য সরকারের অন্যান্য শাখা যেমন কানাডা রেভিনিউ এজেন্সির কাছে চলে যাবে। যদিও আইনে এ ধরনের তথ্য স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হওয়ার পর দক্ষিণ সুদানে কানাডার প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন কগলান। ২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সে সময় দক্ষিণ সুদানে কমপক্ষে ২০ জন কানাডিয়ান নিবন্ধিত ছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় ১৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল।