
সুদান সংকটে কানাডা কী করছে তা জানাতে আগামী বেশ কিছুদিন কেনিয়ায় থাকবেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। পূর্ব আফ্রিকার দেশটি থেকে উদ্ধার করা নাগরিকদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। তাদের মধ্যে আছেন কূটনৈতিক কর্মী, যারা এপ্রিলের গোড়ার দিকে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সুদানে কর্মরত ছিলেন।
সুদানে লোকজনের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন সে ব্যাপারে ধারণা নিতে মানবাধিকার গ্রুপগুলোর সঙ্গেও কেনিয়ায় সাক্ষাৎ করবেন জোলি। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন যারা সুদান থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে পালিয়ে এসেছেন। সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশটির একমাত্র বেসামরিক নেতা আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনাও রয়েছে তার। ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন আবদাল্লা।
সুদানে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে যারা মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে কেনিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠস্বর। পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ইন্টারগর্ভনমেন্টাল অথরিটি অন ডেভেলপমেন্টের দপ্তরও কেনিয়ায় অবস্থিত।
জোলির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, কেনিয়ার কাছ থেকে এই উপমহাদেশের বড় পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
শনিবার এক ইমেইল বিবৃতিতে জোলি বলেন, এই সংকটে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে কেনিয়া। সুদানে সহিংসতার কারণে মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে তারা এবং এই সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের যে চেষ্টা তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে কেনিয়া ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে সহায়তা করতে চায় কানাডা। মধ্যস্থতার উদ্যোগ ও মাননিবক সহায়তায় আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে সুনির্দিষ্ট সহায়তা দেবে কানাডা।
সহিংনসতা শুরু হওয়ার পর খার্তুমে কানাডার দূতাবাস কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জোলির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর তার পোল্যান্ড সফরের মতোই। অটোয়া যে ইউরোপের বাইরের সংকট সমাধানেও ভূমিকা রাখতে চায় এর মধ্য দিয়ে সেটাই বোঝাতে চায় তারা।
মেলানি জোলি তার কেনিয়া সফরকালে সেখানকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আলফ্রেড এন. মুতুয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। কেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার। এ বছরই কানাডার আফ্রিকা কৌশল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।