
লরেইন ফুলার ও তার স্বামী ১৫ বছর আগে অন্টারিওর অ্যাপসলেতে তাদের সম্পত্তিটি যখন কেনেন তখন এটি ছিল বন্যপ্রাণিতে ভরা। তাদের ব্যাকইয়ার্ডের জলাভূমিটি ছিল এর প্রধান কারণ। কিন্তু রাতারাতি পুকুরটি শুকিয়ে গেছে। যদিও কোনো প্রাণীর উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।
অনেক বছর ধরেই তারা অবকাশকালীন এই বাড়িটির মালিক। এটির অবস্থান পিটারবোরো থেকে ৪৫ মিনিট উত্তরে। ফুলার বলেন, তিনি এক সময় নীল সারস, বিভিন্ন ধরনের হাস, কচ্ছপ, ওটার, ব্যাঙ ও বিভার দেখেছেন। এটা ১০০ একরের প্লট হওয়ায় তারা একটি উভচর যান কিনেছিলেন, যা তাদেরকে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে পৌঁছে দেয়। সম্প্রতি তারা কটেজে ছোট একটি কেবিনও নির্মাণ করেছেন, যা তাদেরকে ৭৫ হাজার আয়ের সুযোগ করে দিতো। সেটি নভেম্বরে তৈরি করা হয়েছে এবং এখন এপ্রিল। মনে হচ্ছে সব গেছে।
সারা বছরই তারা অ্যাপসলের সম্পত্তিতে আসেন। ফুলার বলেন, শীতে তারা অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। ৮ এপ্রিল তার স্বামীর কাছে পানির স্তর অস্বাভাবিক কম মনে হয়েছিল। আধা ইঞ্চি পুরু তুষার ও বরফ সবকিছু ঢেকে রেখেছিল। এ কারণেই এ ব্যাপারে বেশি কিছু খোঁজ করতে চাননি তারা। ২২ এপ্রিল আমরা পুকুরে কোনো পানি পাইনি। এটা দেখতে অনেকটা চাঁদের পৃষ্ঠের মতো মনে হয়েছে। এটা তাকে খুবই হতাশ করেছে। আমি যখন পুকুরটি এ অবস্থায় দেখি তখন তার কাছে যাওয়ার মতো সাহস হয়নি আমার। আমার কাছে এটা স্বপ্ন দেখার মতো মনে হয়েছে।
পাশর্^বর্তী জমিতে বড় আকারের বিভার ড্যাম দিয়ে জলাভূমিটি অটুট রাখা হয়েছিল। বেশ কয়েক দশক আগে এটি নির্মিত হয়েছে। এমনকি সম্পত্তিটি তারা কেনারও আগে এটি নির্মিত হয়েছে।