
কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল চঙ্গের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় টরন্টোভিত্তিক চীনা কূটনীতিককে বহিস্কার না করায় চাপে রয়েছে কানাডিয়ান সরকার। তবে চীনের কূটনীতিকরাই যে কেবল অসদাচরণ করেও কোনো ধরনের শাস্তি পাননি তেমন নয়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো বিদেশি কূটনীতিককেই বহিস্কার করেনি কানাডা।
সর্বশেষ কানাডার বিদেশি কূটনীতিককে বহিস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা তা দিতে অস্বীকার করে। এর মুখপাত্র গ্র্যান্টলি ফ্রাঙ্কলিন বলেন, এ নিয়ে আমাদের আর কোনো বক্তব্য নেই।
গত পাঁচ বছরে বিদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছাড়ানো, যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত বিদেশি শিক্ষার্থীকে কানাডা ছাড়তে সহায়তা করা এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রহারের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের কাউকেই কানাডা ছাড়তে বলা হয়নি।
চঙ্গ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অন্য গণতান্ত্রিক মিত্রদের দেখেন। তারা অনেক রুশ ও চীনা কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে।
২০২২ সালে ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেন হামলা শুরু করার পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো ৪০০ এর বেশি রুশ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। অতি সম্প্রতি জার্মানি রামিয়ার ২০ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে চীনের বিরুদ্ধে।
জাস্টিন ট্রুডো গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, কূটনীতিক বহিস্কার বড় পদক্ষেপ। সম্ভাব্য সব ধরনের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে এটা করতে হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে বিদেশি কূটনীতিক বহিস্কার করা যেতে পারে। কিন্তু এর ফলে অন্যদিক থেকেই একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে কানাডিয়ান কূটনীতিকদেরও দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
ইউকেন কানাডিয়ান কংগ্রেসের নীতি উপদেষ্টা ওরেস্ট জাকিডালস্কি বলেন, তাতে কী? সংগঠনটি লিবারেল সরকারের প্রতি রুশ কূটনীতিকদের বহিস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে।