
পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো ফাউন্ডেশন অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এর চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড জনসন। চীন নেতৃত্বাধীন বিদেশি প্রভাব সংক্রান্ত ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে তহবিল নেওয়াকে ঘিরে এই আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে ফাউন্ডেশনকে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে চীনা বিলিয়নেয়ার ঝ্যাং বিন ও আরেকজন চীনা ব্যবসায়ী নিউ জেনসেঙ্গর কাছ থেকে অনুদান সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসেবে সংসদীয় কামটির সমানে হাজির জন জনসন। এইা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ফাউন্ডেশনের নেওয়া অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ওই সময় ইউনিভার্সিটি ডি মন্ট্রিয়লও সাড়ে সাত লাখ ডলার অনুদান পেয়েছিল।
গ্লোব অ্যান্ড মেইল ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে অনমর্থিত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, নতুন লিবারেল নেতা জাস্টিন ট্রুডোর ওপর প্রভাব বিস্তার করেেত ওই দুই ব্যক্তিকে অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বেইজিং।
তবে জনসন সংসদ সদস্যদের বলেন, চীনের কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের অংশ হওয়ার সুযোগ কখনোই ফাউন্ডেশন দেয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবের জন্যই যে ওই অর্থ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
একজন অনুদানদাতা অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও অনুদান দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। ওই অনুদানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমি সন্দিহান। ফাউন্ডেশনের চেক স্বাক্ষরের সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না এবং এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই।
প্রধানমন্ত্রীর ভাই আলেক্সান্দ্রে ট্রুডো গত সপ্তাহে কমিটিকে বলেন, চীনের কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের অংশ ট্রুডো ফাউন্ডেশন নয়।
ফাউন্ডেশনের শুরুর দিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, তার ভাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগেই চীনা ব্যবসায়ীদের অনুদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
অনুদানের জন্য চেকে তার স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি বলেন, এতে অন্যায্য কিছু নেই। কারণ, এটা তার বাবাকে সম্মান জানানোর জন্য।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বারবারই বলে আসছেন, ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তার সব ধরনের সম্পর্ক বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে।