
বিবাদের পর এক ব্যক্তি অস্ত্রসহ বাড়ির মধ্যে ব্যারিকেড সৃষ্টি ও পুলিশের সঙ্গে সঘর্ষের ঘটনায় দুই ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিক নিহত হয়েছেন। স্টোনি ক্রিকে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালে গণমাধ্যমকে হ্যামিল্টন পুলিশ সার্ভিসের মেজর ক্রাইম ইউনিটের সার্জেন্ট স্টিভ বেরেজিউক বলেন, বেশ কিছু সময় ধরে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টার পর ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। দুই ব্যক্তি তার হাতেই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর অন্টারিওর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে (এসআইইউ) ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। পুলিশের কোনো ভূমিকার ফলে মৃত্যু ঘটলে, কেউ গুরুতর জখম হলে, কারো উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করলে অথবা যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করে থাকে এসআইইউ।
২৮ মে প্রকাশিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এইচপিএস বলেছে, স্টোনি ক্রিকের ৩২২ জোন্স রোডের একটি বাড়িতে শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের ডাকা হয়। কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে দুইজনকে মৃত দেখতে পান। তাদের ছিলেন ২৭ বছর বয়সী এক নারী ও ২৮ বছর বয়সী এক পুরুষ। তারা দুজনেই ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়ির বেজমেন্টে থাকতেন ওই দম্পতি।
পুলিশ বলেছে, ভুক্তভোগী উভয়কেই শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বেরেজিউক বলেন, ২৭ বছর বয়সী ওই নারী ব্র্যান্ট কাউন্টির ক্যাথলিক স্কুল বোর্ডের শিক্ষা সহকারী ছিলেন। নিহত ২৮ বছর বয়সী ওই পুরুষ হ্যামিল্টনে ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুজনেই কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। তাদের কাউকেই পুলিশ চিনত না। তাদের বিয়ের কথা হয়েছিল এবং তারা পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। তাদেরকে বাড়ির বাইরে হত্যা করা হয়েছে। তারা সত্যিই নির্দোষ ছিলেন।
তিনি বলেন, বাড়ির ৫৭ বছর বয়সী মালিক একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এর মধ্যে ছিল একটি হ্যান্ডগান ও একটি লং গান রাইফেল। সব অস্ত্রই তার নামে নিবন্ধিত। বাড়ির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত।
হ্যামিল্টন পুলিশ জানিয়েছে, বাহিনীর ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট বাড়িটি ঘিরে সন্দেহভাজনের সঙ্গে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মধ্যস্থতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এরপর আরও গুলি ছোড়েন তিনি এবং পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। ওই ব্যক্তি বাড়ির মধ্যে আটকা পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার এই মৃত্যু তদন্ত করে দেখছে এসআইইউ।