
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও দাবানলের মৌসুম আগেভাগেই শুরু হওয়ায় পেট ফুডের মজুদ স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এসপিসিএকে। গত সপ্তাহে ফোর্ট সেন্ট জনের কিছু বাসিন্দা এবং এসপিসিএকর্মী ও তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রাণী সরিয়ে নেওয়া হয় তখন খাবার অন্যখানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাতে করে স্থানচ্যুত অভিভাবকদের কাজে আসে।
এসপিসিএর আউটরিচ বিশেষজ্ঞ ডায়ানে ওয়াটারস বলেন, দাবানল ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পোষ্যসহ অভিভাবকদের যখন সরিয়ে নেওয়া হয় তখন তারা একটা সময় পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে দূরে থাকেন। বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত তারা বিসি এসপিসিএর পেট ফুড ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
কয়েক মাস ধরে পেট ফুড ব্যাংকের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে যারা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাপ
খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিসি এসপিসিএ অব্যাহতভাবে পেট ফুড সরবরাহের অনুরোধ পাচ্ছে বলেন জানান ওয়াটারস। তিনি বলেন, আমরা সাহায্য করছি এমনরর সংস্থ্রা সংখ্যা ১৩৯টি থেকে বেড়ে ১৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
যেসব কমিউনিটির কাছে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ভিক্টোরিয়া সেগুলোর একটি। ২০২২ সাল থেকে সেখানে পেট ফুড ব্যাংক কর্মসূচির মাধ্যমে অনুরোধ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
ভিক্টোরিয়ার অ্যানিমেল কেয়ার সার্ভিসেসের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ব্রিয়ানে বেকেট বলেন, আমাদের কমিউনিটির বিদ্যমান খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি খারাপ প্রভাব ফেলছে। বিসি এসপিসিএর সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগের কারণেও বেশি সংখ্যক লোক সাহায্যের জন্য আসছেন।
২০২২ সালে বিসি এসপিসিএ পেট ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ লাখ ৩২ হাজার মিল সরবরাহ করেছিল। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হয়েছে বিড়ালের শুকনো ও ভেজা খাবার এবং লিটার। পেট ফুড সংগ্রহ ও তা বিতরণের কাজে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবীও খুঁজছে বিসি এসপিসিএ।