
দাবানলের কারণে এই নিয়ে গত সাত বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাড়ি ছাড়তে হয়েছে ড্যানি অসবর্নকে। ২০১৬ সালের মে মাসে আলবার্টার ফোর্ট ম্যাকমারিতে ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচতে তাকে পালাতে হয়েছিল। ওই আগুনে স্থানচ্যুত হয়েছিল ৯০ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪০০টি। তবে তার আলবার্টার বাড়িটি আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
কিন্তু গত মঙ্গলবার অসবর্ন জানতে পারেন যে, রোববার থেকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জ¦লতে থাকা হ্যালিফ্যাক্সের আগুনে নোভা স্কশিয়ায় তার নতুন নির্মিত বাড়িটি পুড়ে গেছে।
হ্যালিফ্যাক্সের উত্তরপশ্চিম বিভাগ থেকে আরসিএমপির নেতৃত্বে যাদের বাড়িঘর থেকে পোষ্যদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। ফিরে এসে ৪৫ বছর বয়সী এই নির্মাণকর্মী বলেন, সব শেষ। বাড়িটি পুরো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার আদেশ দেওয়ার পর যখন তিনি বাড়ি ত্যাগ করেন সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন অসবর্ন। তিনি রিয়ার ভিউ মিররে কালো ধোয়া বেরিয়ে আসতে দেখেন। আলবার্টার বিপর্যয় যে পীড়া তাকে দিয়েছিল সেই একই পীড়া তিনি এখানেও পান।
দুই সন্তানের পিতা অসর্বন বলেন, এটা নিছক বিশৃঙ্খলা এবং সারা কানাডাজুড়েই্ এটা হচ্ছে। আগেও একবার একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় এবার কিছুটা শান্ত থাকতে পারবো বলে ভেবেছিলাম। তারপরও এটা সত্যিই খুব ভয়ের।
দমকল কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার শুষ্ক আবহাওয়ার পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইতে ভয়ঙ্করভাবে আগুন জ¦লতে থাকে। ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয় আগুন।
ফায়ারফাইটাররা যখন জায়গায় জায়গায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তখন হ্যালিফ্যাক্স ফায়ারের ডেপুটি চিফ ডেভিড মেলড্রাম বলেন, উদ্ধার পরিসীমার বাইরে ছড়ায়নি আগুন। অগ্নিকা- শুরু হওয়ার পর থেকে ২০০ এর মতো বাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে। আগুন বাড়তে পারেনি। তবে আগুন নেভেওনি। আগুন নতুন শক্তি নিয়ে আবারও ফিরে আসতে পারে।
দাবানলের কারণে ১৬ হাজার মানুষকে তাদের হ্যালিফ্যাক্স এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই পোর্ট সিটি ডাউনটাউনের ৩০ মিনিটের মধ্যে। দাবানলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।