
অটোয়াও ২০২২ সাল থেকে খালি বাড়ির ওপর কর আরোপ করতে যাচ্ছে। একই ধরনের কর আরোপের চিন্তাভাবনা করছে অন্টারিওর মিসিসোগাও। এদিকে, খালি বাড়ির কর সম্পর্কে টরন্টোবাসীর কাছে তথ্য চাইছে নগর কর্তৃপক্ষ। বাড়ির সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী বছর থেকে চালু হতে যাওয়া খালি বাড়ির কর আদায় ব্যবস্থা টরন্টোতে বাড়ির সরবরাহে কতটা প্রভাব রাখবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কতিপয় পর্যবেক্ষক।
খালি বাড়ি থেকে কর আদায়ের উদ্দেশ্য হলো বাড়ির মালিকরা যাতে তান বিক্রি করে দেন অথবা ভাড়া দেন। আর তা না হলে যেন তারা কর পরিশোধ করেন। এ লক্ষ্যে একটি জরিপে অংশ নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ। জরিপে নাগরিকদের জন্য বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খালি বাড়ির কর আরোপকে তারা কতটা সমর্থন করেন, প্রস্তাবিত অব্যাহতির সঙ্গে তারা একমত কিনা এবং কত সময় পরপর কর পুনর্মূল্যায়ণ করা উচিত? সোমবারের মধ্যে এসব প্রশ্নের উত্তর জমা দিতে হবে।
ডেপুটি মেয়র আনা বাইলাউ বলেন, জনগণের সঙ্গে এ পরামর্শ কর সম্পর্কিত বিস্তারিত চূড়ান্ত করতে সহায়ক হবে। কে এ থেকে অব্যাহতি পাবেন এমন বিষয় এর মধ্যে অন্যতম। ব্যবস্থাটির প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো খালি পড়ে আছে এমন বাড়ির মালিকদের তা বিক্রয় বা ভাড়া দিতে উদ্বুদ্ধ করা।
২০২২ সাল থেকে সব বাড়ির মালিককে তাদের আবাসিক বাড়ি কি অবস্থায় আছে সে সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছর ঘোষণা করতে হবে। কোনো বাড়ি পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বর্ষের ছয় মাসের বেশি সময় ধরে খালি থাকলে তা অব্যবহৃত বলে ধরে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এটি বাড়ির মালিকের প্রধান আবাসনও বিবেচনা করা হবে না। যারা তাদের বাড়ি খালি বলে ঘোষণা দেবেন তাদেরকে বাড়ির মূল্যের ১ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করতে হবে। যারা তা করবেন না তাদেরকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। ২০২২ সালে যারা বাড়ি খালি হিসেবে ঘোষণা দেবেন তাদেরকে কর পরিশোধ করতে হবে ২০২৩ সালে। তবে বাড়ির মালিক যদি মারা যান অথবা সংস্কারাধীন থাকে তাহলে সেটি কর থেকে অব্যাহতি পেতে পারে।
সিটি কর্তৃপক্ষের ধারণা, ১ শতাংশ ভ্যাকেন্সি রেট ও ১ শতাংশ করের ভিত্তিতে প্রতি বছর এ থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পর্যন্ত রাজস্ব পাওয়া যাবে।