
আলভেস ও হোয়ানা সাঞ্জ ছবি সংগৃহীত
ধর্ষণের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে স্পেনে গ্রেপ্তার হন দানি আলভেস। ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার এর পর থেকে কারাগারেই আছেন। তবে মাঝের সময়ে তার ওপর দিয়ে আরও অনেক ঝড় বয়ে গেছে। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু এতদিন পর সেদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার। খবর মার্কার।
স্প্যানিশ সাংবাদিক মায়কা নাভারোকে জেলে বসে এক সাক্ষাৎকারে ধর্ষণের ঘটনাসহ নানা বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন আলভেস। যেখানে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযোগকারী সেই নারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি পুরো ঘটনা নিয়ে নিজের স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আলভেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৩০ ডিসেম্বর স্পেনের বার্সেলোনার একটি নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণকরেছিলেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে সাবেক বার্সেলোনা তারকার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে স্পেনে।
সাক্ষাৎকারে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আলভেসে বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় কাউকে আঘাত করিনি, সেই রাতেও করিনি। আমি জানি না সে সজ্ঞানে আছে কি না, রাতে তার ভালো ঘুম হয় কি না। কিন্তু আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি তার সচেতন ও সজ্ঞানে ফেরার প্রত্যাশা করছি। তবে এমন কোনো রাত নেই যে রাতে আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। একটা রাতও না। আমি খুব ভালোভাবেই সজ্ঞানে আছি।’
আলভেস আরও বলেন, ‘এটা আমার প্রথম সাক্ষাৎকার। এই সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, কারণ আমি কী ভাবছি সেটা সবাইকে জানানোর সুযোগ আমি নিতে চাই। আমি আপনাদের জানাতে চাই সেদিন কী ঘটেছিল এবং বাথরুমে কী হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ভীতিকর এক গল্পই সবাইকে শোনানো হয়েছে এবং আতঙ্কের কথা বলা হয়েছে। যা ঘটেছে তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি আমি যা করেছি তার সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাথরুমে কী ঘটেছিল তার ব্যাখ্যায় আলভেস বলেছেন, ‘আমরা কথা বলার পর আমি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কারণ, আমরা কিছু সময় একসঙ্গে নেচেছি। আমরা চুমু খাইনি বা তেমন কিছু করিনি। তবে অবশ্যই আমরা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। আমরা জনসম্মুখে ছিলাম। আমাদের ছবি তোলার ব্যাপারে বাধা দিতে আমার বন্ধু সামনেই দাঁড়িয়েছিল। আমি মেয়েটিকে বলেছিলাম আমি আগে বাথরুমে গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করব।’
এদিকে অনেকক্ষণ অপেক্ষায় রাখার পর সেই নারী বাথরুমে এসেছেন দাবি করে আলভেস আরও যোগ করেন, ‘সে ভেতরে এলে আমি সরে দাঁড়াই। আমি বাথরুমের দরজাও আটকাইনি। জানতাম আমার বন্ধু বাইরে আছে। ফলে কেউ আর ভেতরে আসতে পারবে না। সে জানত আমরা কী করছি। সে কখনোই আমাকে থামতে বলেনি বা চলে যেতে চায় এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। পুরো সময়টাতে দরজা খোলা ছিল। সে চাইলেই চলে যেতে পারত। কারণ, আমি পুরোটা সময় টয়লেটের সিটেই বসেছিলাম।’
স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আলভেস বলেন, ‘শুধু একজন মানুষের কাছে আমি চাই সে আমার স্ত্রী, হোয়ানা সাঞ্জ। আমি এরই মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তবে সবকিছু এখন সবাই জানে। জনসম্মুখে আমার ক্ষমা চাওয়াটাও তার প্রাপ্য।’