10.1 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

অপহরণের পর তরুণকে খুন, ‘সমকামী দলের প্রধান’ গ্রেপ্তার

অপহরণের পর তরুণকে খুন, ‘সমকামী দলের প্রধান’ গ্রেপ্তার - the Bengali Times

লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ

অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। সেই টাকা না পেয়ে আমীর হোসেন (২৫) নামের একজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি ‘সমকামী দলের প্রধান’ তারেককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে অপহরণের ৪ মাস ২৪ দিন পর পরিত্যক্ত টয়লেটের কুপ থেকে আমীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত বুধবার ভোরে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে অভিযুক্ত তারেককে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সদরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের দারগারচালা এলাকার একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কূপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আমির নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার তুলাচাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

- Advertisement -

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ খান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছা. রেজিয়া খাতুন জানান, গ্রেপ্তারকৃত তারেক একটি সমকামী দলের প্রধান। তার নেতৃত্বে ৩ থেকে ৪ জনের একটি সমকামী দল আছে। দলটি অনেকের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে এবং টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০২১ সাল থেকে চক্রটি এমন অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত আমীর হোসেনকেও একই ফাঁদে ফেলে চক্রটি। একপর্যায়ে গত ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আমীরকে মাওনা চৌরাস্তায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে কোমল পানিয়র সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আমীর হোসেনকে খাওয়ায় এবং গ্রেপ্তারকৃত তারেকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আমীর গভীর ঘুমে চলে গেলে ছয়দিন পর্যন্ত ওষুধ মেশানো পানি পান করিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়।

তিনি জানান, আমীরের মোবাইল থেকে তার বোন কামরুন্নাহারের নিকট দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারেক। কামরুন্নাহার তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু গভীর ঘুমে থাকায় আমীরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে পারেননি তারেক। তার পর থেকে একাধিকবার ফোন করে টাকা দাবি করে তারেক। পরে ধরা পরার ভয়ে আমীরকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর ২২ তারিখে মাওনা চৌরাস্তা থেকে রশি ও বস্তা কেনে তারেক। ওই দিন রাত ৮ দিকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে আমীরকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তায় ভরে টয়লেটের কুপে ফেলে দেন। আমীরকে হত্যার পরও কামরুন্নহারের নিকট টাকা দাবি করে তারেক। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন গত ১৩ এপ্রিল ঢাকার দক্ষিণ খান থানায় মামলা করেন।

এসআই আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার আসামি সনাক্ত করা হয়। আসামি তারেক ঘটনার পর ৪ থেকে ৫ দিন তার বাড়িতেই অবস্থান করে। তার পর সে আত্মগোপনে চলে যান। সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ বুধবার ভোরে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles