
গত পরশু দিনের ঘটনা। অফিসে কাজ করছি। বিকেলে হঠাৎ বড় কন্যার ফোন।সে গেছে ইউনিভারসিটিতে একটি সামার কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে।
তো ফোন রিসিভ করলাম। কন্যাদ্বয়ের ফোন সাধারনত মিস করিনা।
–হ্যালো আম্মু, কী খবর? সব কিছৃু ঠিকতো?
— না ঠিক নাই। একদম ঠিক নাই।
— ওমা কী হয়েছে?
— একটা কফি কিনেছি, দোকানের লোকটি কফিতে ঠিকমত চিনি দেয় নাই।
–তো তাকে দিতে বলো।
— বলেছি। বলার পরে দিছে, কিন্তুু এখনতো আর সেরকম টেষ্ট লাগবেনা, তাইনা?
–হ্যা, তাতো লাগবেই না।
— কফি ওয়ালা খুব খারাপ একটা কাজ করেছে। ওর এরকম ভুল করা উচিৎ হয়নি। আচ্ছা, তুমি চাইলে আরেক কফি নিয়ে নাও।
— আরেকটার দাম কে দেবে?
–তুমি তোমার টাকা দিয়ে কেনো, পরে আমি দিয়ে দেবো।
–না না, আর দরকার নেই। আমার রাগ কমে গেছে।
— ঠিক আছে তাহলে, বাই। সি ইউ টু নাইট।
— বাই।
কফিতে চিনি দেয় নাই বা কম হয়েছে এটা একটা ক্রাইসিস বটে। মুলত ক্রাইসিসটা হল তার রাগ হয়েছে। সেটার জন্য ভেন্টিলেশন দরকার।সেই ভেন্টিংটা কার কাছে করা যায়?
একজন আছে।
সেটা কে?
ড্যাডি। সেজন্যই ফোন।
কফিতে সুগার কম হয়েছে বা সুগার দেয় নাই — বিষয়টা কারো সাথে শেয়ার করার মত না হয়ত। কিন্তুু বাবা হিসেবে বাচ্চাদের এই ছোট ছোট বিষয়গুলোতে যদি গুরুত্ব না দেই বা তাদের কথা শোনার অভ্যাস না করি একদিন হয়ত সে সিরিয়াস কোন সমস্যার কথা বলবেনা।
তখন তার মারাত্বক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এবং সেটাই হয়।
আমরা অনেকেই বাচ্চাদের এরকম সমস্যাকে আদিখ্যেতা বলে উড়িয়ে দেই, কিন্তুু সেটা বোধহয় ঠিক না।
বাবামা ও সন্তানের মধ্যে দুরত্ব বাড়ার অন্যতম কারন সন্তাদের ছোট ছোট কথা গুরুত্ব দিয়ে না শোনা।