
গণতদন্তের নেতৃত্ব কে দেবে তা ঘোষণা করার আগে প্রথম পদক্ষেপটা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর। প্রথমে তাকে গণতদন্তের ঘোষণা দিতে হবে।
কনজার্ভেটিভদের দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আন্তঃসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লাব্লাঁর কাছে গত সপ্তাহে চিঠি লিখেছেন পয়লিয়েভর। তার আগে তিনি ফোন করেছিলেন। চিঠিতে পয়লিয়েভর বলেন, আলোচনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই স্বাধীন এবং গণতদন্তের ঘোষণা দিতে হবে।
বিদেশি হস্তক্ষেপের তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত সে ব্যাপারে পরিকল্পনা হাজির করার দায়িত্ব পড়েছে লাব্লাঁর ওপর। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্পেশাল র্যাপোর্টার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ডেভিড জনস্টন আকষ্মিক পদত্যাগ করার পর এই দায়িত্ব পান তিনি। বিষয়টি ঘিরে অতিমাত্রায় দলীয় আবহ তৈরি হওয়ার পর এ মাসের গোড়ার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনস্টন।
লাব্লাঁ বলেছেন, এরপর থেকেই গণতদন্ত কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপারে সরকার বিরোধী নেতাদের কথা শুনছে। কে এর নেতৃত্ব দেবেন এবং এর টার্মস অব রেফারেন্স কী হবে সে ব্যাপারেও তাদের বক্তব্য শুনছে সরকার।
ব্লক কুইবেকোয়িস সম্প্রতি তদন্তে সম্ভাব্য নেতৃত্বদাতাদের একটি তালিকা জমা দিয়েছে। তাতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লুইস আরবারের নাম রয়েছে। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ কীভাবে সামাল দিয়েছে সম্প্রতি সেই তদন্ত করেছেন তিনি।
তবে পয়লিয়েভরের পদ্ধতি একটু আলাদা। চিঠিতে তিনি বলেছেন, কনজার্ভেটিভরা সত্যসত্যিই বিষয়টি কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে ব্যাপারে ধারণা দিতে চায়। কিন্তু সেটা কেবল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গণতদন্তের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর।