
গণঅধিকার পরিষদের অফিসে প্রতিপক্ষ দুটো গ্রুপের একসাথে সভা করার ভিডিও দেখলাম গতকাল। একই সভায় ভিপি নুরের আবেগঘন ও দৃঢ়চেতা দীর্ঘ বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শুনলাম। প্রতিপক্ষ ফারুক হাসানদের বক্তব্য ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত তবে সাহসী। নুরুল হক নুরের বক্তব্যের সময় তার পক্ষে শ্লোগান শুনে মনে হলো ঘরভর্তি লোকজনের বেশীরভাগ তার সমর্থক।
যাহোক এই ভিডিওটা দেখে মনে হলো নানান অভিযোগ সত্তেও নুরুল হক নুরুর দল টিকে যাবে এবং রেজা কিবরিয়ার গ্রুপ অন্ততঃ এই দল থেকে হারিয়ে যাবে।
অপর একটি পর্যবেক্ষণ হলো, অতীতে এই ধরনের দল ভাঙাভাঙির সময় নেতারা দীর্ঘ বক্তৃতা দিতেন, পুস্তিকা লিফলেট বের করতেন কিন্তু সেসব বক্তৃতায় ও পুস্তকে থাকতো আগামী দিনে দলের রাজনীতি কি হবে তার দিক নির্দেশনা, দলীয় আদর্শ ও নীতির ব্যাখা, সেইসব আদর্শের ভিত্তিতে কেমন বাংলাদেশ গড়ার জন্যে তারা লড়াই করছেন এবং আগামীতে দলকে সেই লক্ষ্যে পরিচালনা করা উচিত তার সবিস্তার বিশ্লেষণ ও পাল্টা যুক্তি বিশ্লেষণ।
নুরুল হক নুরের বক্তৃতায় সেসবের ছিটেফোটাও পেলাম না কিন্তু তিনি যা বললেন তার ভিত্তিতেই মনে হলো তারা ছোট আকারে হলেও এগিয়ে যাবেন, কমপক্ষে তিনি নিজের রাজনৈতিক একটা লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবেন অর্থাৎ হয়তো ইমরান সরকারের মত হারিয়ে যাবেন না। নুর তার বক্তৃতায় জামাতকে খুশী করলেন, ইসলামী আন্দোলনকে খুশী করলেন, মাওলানা মামুনের কথা বললেন অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে আরো কিছুদিন মাস বা বছর তিনি রাজনীতিতে টিকে থাকার যেসব কৌশল মানুষ খায়, তা তার আয়ত্তে আছে বলে মনে হলো। যেটা নেই সেটা হলো তার দলের প্রকৃত রাজনীতি যেখানে থাকে তার দল ক্ষমতার ম্যান্ডেট পেলে কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে এবং কেমন দেশ তারা গড়ে তুলবে!
স্কারবোরো, কানাডা