
প্রিয় বিজু (সাহিদুল ইসলাম বিজু) তার পাঠক সমাবেশের দুই আউটলেটকেই প্রায় আমেরিকা কানাডার বইয়ের দোকান চেইন ‘ইনডিগো’র কাছাকাছি করে গড়ে তুলেছেন।ভালো লাগে এই আরামসে বই দেখা বসে পড়া কেনার সুব্যবস্থা দেখে।কাঁটাবনে মঙ্গল সমাবেশ নামে আয়োজন ও প্রায় হয়।স্বনামধন্য গুণীজনরা আসেন বইয়ের দোকানে আসরে বসে।একজন বিজ্ঞ উপস্থাপক প্রশ্ন করেন আর নিজেও গুণীজনরা তার অতীত বর্তমান ভবিষত নিয়ে বলেন।টরন্টো থাকতে অনলাইনে দেখতাম আর আফসোস করতাম আর এখন ঢাকায় আছিতো মহাব্যস্ততায় মঙ্গল সমাবেশে উপস্থিত হতে পারিনা।
তাই বলে আমার প্রিয়জন স্থপতি আলোকচিত্রী চলচ্চিত্রকার এনামুল করিম নির্ঝরের ৪১তম মঙ্গল সমাবেশে উপস্থিত থাকবোনা তাতো হয়না! গুলশানের শেষ মাথা থেকে কাঁটাবন জার্নি বাইরে এক শহর থেকে অন্য শহরের যাওয়ার মতই। সহজেই বোঝা যায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নম্বর ওয়ান নয়েজী সিটি ঢাকার পথে বেরিয়েছি।আমি সঙ্গে নিলাম টরন্টো থেকে আসা স্থপতি মনির আহমেদকেও।
তিনি যখন বুয়েট থেকে বেরিয়ে দেশ ছেড়েছেন তখন এনামুল করিম নির্ঝর বুয়েটে ইন করেননি।তবু মুনির ভাইয়ের আগ্রহ নির্ঝরের কথা শুনবেন,বয়সে কম হলেও মাল্টিপল প্রতিভাবান স্থপতির সঙ্গে পরিচিত হবেন। অন্য এক অনুষ্ঠানে যাওয়া বাতিল করে আমার সঙ্গী হলেন। নির্ঝরের ভবিষত প্রকল্প ‘নয় বছরের বড়’ খুবই গোছানো ভাবে ভাগ করা এক মহা কর্মকান্ড। প্রকল্পকথা শুনে মন ভরে গেলো। নির্ঝর ভাবে যখন কতেও পারে। নির্ঝর পারবে। যতটুকু পারে তাইতো অনেক।
শুরুতো হবে,বাংলাদেশে মানুষের জন্যে ভালো কিছু শেষ দূরে থাক শুরুইতো হয়না। হয় শুধু গলাবাজী। ছবি তুলেছেন-শারমিন পাঠক।
স্কারবোরো, কানাডা