
টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত অলিভিয়া চাউ তার নতুন চিফ অব স্টাফের নাম ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী আগস্টে টরন্টো সিটি কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছেন, যার উদ্দেশ্য নগরীর সমস্যায় থাকা আর্থিক ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কাজ করা।
সিটি হলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার ছুটি কাটানোর কোনো ইচ্ছা নেই। গ্রীষ্ম থেকেই
আমি কাজ শুরু করতে চাই, যাতে করে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আমরা আশু সমাধান করতে পারি।
গ্রীষ্মে সিটি হল সাধারণত ছুটিতে চলে যায়। কিন্তু চাউ বলেন, সিটি এমন কিছু জরুরি সমস্যার মধ্যে রয়েছে, যে জন্য অপেক্ষা করার সময় নেই।
সোমবারের নির্বাচনে টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন চাউ। ১২ জুলাই তার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরদিন থেকেই তিনি কাজে নেমে পড়েছেন। সিটি হলে গুরুত্বপূর্ণ সিটি কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে তিনি সম্মুখসারীর বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি নেতা ও সিভিল সার্ভিসকে সামনের সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারগুলোর ব্যাপারে এক জায়গায় আনতে চান। এসব অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে সাশ্রয়ী আবাসন, অর্থনৈতিক সুযোগ, কমিউনিটি সমস্যা মোকাবিলা এবং সাপোর্টিভ হাউজিং। তবে এসব সমস্যাকেও ছাপিয়ে গেছে বড় অংকের বাজেট ঘাটতি।
চাউ বলেন, নগরীর ১৫০ কোটি ডলারের ঘাটতি পূরণে তিনি অন্য স্তরের সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন।
যদিও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নতুন মেয়র হিসেবে চাইকে বুধবার অভিনন্দন জানিয়েছেন, ফেডারেল সরকার কোনো অর্থ দিয়ে সিটিকে সহায়তা করবে না।
সিটি ব্যবস্থাপক এর আগে বলেছিলেন, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনার মতো কোনো অর্থ না পেলে টরন্টোকে আগামী মূলধনী প্রকল্প কমিয়ে আনতে হতে পারে। কিছু সেবাও কাটছাঁট করতে হতে পারে অথবা কর বাড়ানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
সিটি কর্তৃপক্ষ এ বছর করের হার এরই মধ্যে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। তবে সেটা প্রধানত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে।
চাউ বলেছেন, আগস্টে ডাকা নির্বাহী কমিটির বিশেষ সভায় দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরতে ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাকেলভি এবং সিটি ব্যবস্থাপক পল জনসনকে চিঠি লিখেছেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর যখন কাউন্সিল আবার বৈঠকে বসবে তখন সেগুলো বিবেচনা করবে।
এদিকে চাউ তার নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাইকেল হের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি সাবেক কাউন্সিলর ও চাউয়ের পালক পুত্র মাইক লেটনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।