
গত ছয় মাস ধরে ডাউনটাউন টরন্টোর রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার (আরবিসি) সদরদপ্তরের সামনে একাই বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন জেরাল্ড কমিউ। তিনি বলেন, দুটি চাকরি করার পরও প্রতিদিনই তিনি বিক্ষোভের জন্য আসেন এবং ‘আরবিসিকে বিশ্বাস করা আমার জন্য লজ্জার’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
কমিউর দাবি, ২০২১ সালের এপ্রিলে পাঁচ বছরের ফিক্সড মর্টগেজ ভেঙে ফেলায় তাকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়েছে। ফলে আরেকটি মর্টগেজ তাকে নিতে হয়েছে যেটার সুদের হার ২ শতাংশ। কিন্তু সুদের হার বাড়তে থাকলে তাদের মাসিক মর্টগেজ পরিশোধেল পরিমানও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে আমি একটা ফোনকল পাই। তাতে বলা হয়, আমার সুদের হার এরই মধ্যে চারগুন বেড়ে গেছে। আমি বলি, আপনি ভুল লোকের সঙ্গে কথা বলছেন। আমি আমার মর্টগেজ গত বছর ভেঙে ফেলছি এবং এজন আমাকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে। আমার সেটা ফিক্সড মর্টগেজ ছিল।
এরপর ব্যাংক থেকে বলা হয়, কমিউ যে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন সেটি ছিল ভ্যারিয়েবল রেটের মর্টগেজ। কমিউ বলেন, কী চাই এবং কেন চাই দুই মাস ধরে আমি সেটা তাদেরকে বলে আসছি। কিন্তু তারা বলছে, স্বাক্ষর করার আগে আপনার এটা পড়ে দেখঅ উচিত ছিল। এখন আমাকে এজন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ১০০ ডলার বেশি গুনতে হচ্ছে এবং মর্টগেজটি ভেঙে ফেলার সময় আমি যে ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলাম এটা তার অতিরিক্ত।
আরবিসির কমিউনিকেশন্স, পার্সোনাল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের পরিচালক শেরিল ব্রিন সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, কমিউর ব্যাপারটি নিয়ে তারা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।