
বর্ধিত মূল্যস্ফীতি নিয়ে কানাডিয়ানদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এই অবস্থায় ফেডারেল সরকার প্রতিযোগিতা আইন পর্যালোচনা করছে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে প্রতিযোগিতা প্রাত্যহিক সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কানাডার বৃহত্তম দুই নিউজপেপার চেইন পোস্টমিডিয়া এবং টরন্টো স্টারের মালিকপক্ষ সম্ভাব্য একীভূতকরণের বিষয়টি সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে। এমনিতেই প্রতিযোগীর সংখ্যা সীমিত থাকা এই খাতটিকে আরও একত্রীকরণের একটা ইঙ্গিত এটি।
গত সপ্তাহে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত বহু প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে কম্পিটিশন ব্যুরো গ্রোসারি খাতে আরও প্রতিযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। এসবই বেশ কিছু খাত নিয়ে পর্যালোচনায় গতি সঞ্চারে ভূমিকা রেখেছে। টেলিযোগাযোগ খাত প্রধান সম্প্রতি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদক্ষেপ গ্রহণের একটা সুযোগ করে দিচ্ছে এবং ফেডারেল সরকার প্রতিযোগিতা আইন পর্যালোচনার কার্যক্রম শুরু করেছে।
কম্পিটিশন কমিশনার ম্যাথিউ বসওয়েল বলেন, প্রতিযোগিতার বিষয়টি সারা দেশেই খবরের শিরোনাম হচ্ছে। কানাডিয়ানরা মূল্যস্ফীতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এবং সে কারণে প্রতিযোগিতার বিষয়টি কীভাবে নিত্য সমস্যা হয়ে উঠেছে তা সহজেই বোঝা যায়।
কানাডিয়ান অ্যান্টি-মনোপলি প্রজেক্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কেলডন বেস্টার বলেন, মূল্যস্ফীতি এবং কর্পোরেট শক্তি নিয়ে বৈশি^ক আলোচনা লোকজনকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিযোগিতার ভূমিকা নিয়ে আরও বেশি সতর্ক করে তুলছে। কানাডিয়ানদের বাজেট চাপে পড়ায় তাদেরকে জীবন নির্বাহে বিকল্প কাজের সন্ধান করতে হচ্ছে। ভালো সময়ে এসব আমরা উপেক্ষা করতে পারতাম।
গ্রোসারি পণ্যের দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প খাতের মুনাফা বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো মূল্যস্ফীতিকে কাজে লাগিয়ে মুনাফা ঘরে তুলছে বলে অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন। কম্পিটিশন ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে গ্রোসারি পণ্যের মুনাফা মার্জিন মোটামুটি ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি হলো কানাডার বৃহৎ গ্রোসাররা সাধারণত এই মার্জিন বাড়াতে পারে। যদিও তা অতিমাত্রায় নয়। এ থেকেই বোঝা যায় কানাডার গ্রোসারি খাতে প্রতিযোগিতার আরও সুযোগ রয়েছে।
১৯৯৬ সালে প্রতিযোগিতা আইন যখন কার্যকর করা হয় তখন কানাডায় বৃহৎ গ্রোসার ছিল আটটি। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র পাঁচটিতে।