
আমেরিকা নামক দেশটি বাংলাদেশের ওপর প্রথম অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ১৯৭১ সালে ‘তলা বিহীন ঝুড়ি’ কথাটি উচ্চারণ করে। পরবর্তীতে সদ্য একটি স্বাধীন দেশের সাথে কেউ যেন অর্থনৈতিক লেনদেন না করে এবং যদি করে সেই টাকা সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়ার সমতুল্য হবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছিল হেনরি কিসিঞ্জার সহ আমেরিকার অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি। ওদের বিদেশ মন্ত্রী কিসিঞ্জার, আমাদের দেশকে সাহায্য করার বদলে হাত তুলে নিতে ইশারা করেছিলেন পশ্চিমা বিশ্বকে। গত তিনদিন আগে এই ব্যক্তি তার শততম জন্মবার্ষিকী পালক করলো মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে।
বাংলাদেশ সরকার এখন তো লোকটিকে ভিসা না দেবার ঘোষণা দিতে পারে। তাকে বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার না দিলে দোষের কিছু হবে বলে মনে হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যার কাজে এই ব্যক্তি মদদ জুগিয়েছে। মানবতা লঙ্ঘনের অপরাধে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার না দিলে দেশ ও জাতির কোন ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। প্রথম আলো পত্রিকা লিখেছে ‘বিশ্বের বড় অংশই কিসিঞ্জারকে গালি দেয়।
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকটি দেশ এড়িয়ে চলেন এই ভয়ে যে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হতে পারে’। পত্রিকাটি আরো লিখেছে, ‘বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতি হেনরি কিসিঞ্জারের ব্যক্তিগত সমর্থনের সপক্ষে একাত্তরের ৬ মার্চে প্রস্তুত দলিলটিকে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। কারণ তিনি সুপরিকল্পিতভাবে ইয়াহিয়ার সম্ভাব্য রক্তস্নান নীতির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি এমনকি বলেছিলেন, ‘আমাকে শয়তানের পক্ষে ওকালতি করতে দাও’।
বাংলাদেশের ভিসা নীতিনির্ধারকেরা কি বলেন?
সংযোজন;
যদি এমন কিছু করা যায় তবে বিশ্বের আলোচিত সংবাদ হবে এটি। লাভের মধ্যে লাভ একটাই। নতুন করে বিশ্ব জানবে একাত্তরের দিনগুলোর কথা। জানবে ত্রিশ লক্ষ মৃত্যুর কথা। এমন সুযোগ কেন ছাড়বো আমরা। যখন চেষ্টা চলছে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া।