
বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে ফেডারেল দলগুলো যখন সম্ভাব্য তদন্তের কথা ভাবছে, তখন কানাডার মিডিয়া লিটারেসি চ্যারিটি বলছে, জনগণ যাতে শত্রু দেশের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সরকার ও স্কুলগুলোকে আরও ভালো কিছু করতে হবে।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্মার্টসের শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক ম্যাথিউ জনসন বলেন, আমাদের মিডিয়া লিটারেট জনগণ দরকার। ভুয়া তথ্যের উৎস যাই হোক না কেন এমনকি বিদেশি হস্তক্ষেপ হলেও মিডিয়া লিটারেসিই হচ্ছে সুরক্ষার প্রথম ও শেষ রেখা।
গত মে মাসে আলবার্টার দাবানল যখন ব্যাপক বিস্তৃত হয় তখন আগের বছরের আগুনের ছবি টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে এই ভুয়া দাবিও করা হয় যে, পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। একই মাসে ফোনে তোলা পেন্টাগনের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে এই দাবি করা হয় যে, ওয়াশিংটনে বিস্ফোরণ হয়েছে।
গুগল সার্চের মাধ্যমে এই দণন দাবি সহজেই বাতিল করা সম্ভব। কিন্তু জনসন লক্ষ্য করেন, উভয় দাবিই ক্রমে বিস্তৃত হয়েছে। তার মতে, এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, কত সহজেই বিদেশিরা কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে বিঘিœত করতে পারেন।
বিদেশি হস্তক্ষেপ বিষয়ে সাবেক স্পেশাল র্যাপোর্টার ডেভিড জনস্টন পদত্যাগের আগে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, বিদেশি রাষ্ট্রের ভুয়া তথ্য ও বিভাজনমূলক কনটেন্ট নিয়ে কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস উদ্বিগ্ন। কাকে ভোট দেবে সে ব্যাপারে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এমনকি ভোটদানে বিরত রাখতেও এসব তথ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।