
আপনার প্রিয় বিয়ার ও ওয়াইনের জন্য টরন্টোর কোনো গ্রোসারি স্টোরে ঢুঁ মারলে আপনাকে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। কারণ টরন্টোর বেশ কিছু গ্রোসারি স্টোর চুরি ও কম মুনাফার কারণে অনেকটা গোপনেই এগুলোর বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
রিটেইল কাউন্সিল অব কানাডার মুখপাত্র মিশেল ওয়াসিলিশেন এ ব্যাপারে বলেন, এটা সত্যিই সমাধানের বাইরে এবং হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কিছু গ্রোসারি স্টোর এগুলো তাদের তাক থেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পূর্ববর্তী লিবারেল সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মাস্টার ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় অন্টারিওজুড়ে গ্রোসারি স্টোরগুলো ২০১৫ সাল থেকে ওয়াইন ও বিয়ার বিক্রি করতে পারছিল। দশ বছরের এই চুৃক্তি ওয়াইন ও বিয়ার বিক্রিতে বিদেশি মালিকানাধীন বিয়ার স্টোরের মুনাফা সীমিত করে রেখেছে। যোগ্য বৃহৎ ও ছোট আকারের খুচরা বিক্রেতারা এগুলো বিক্রি করতে পারে। তবে মুনাফার পরিমাণ ২ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
ওয়াসিলিশেনের তথ্য অনুযায়ী, রিটেইল কাউন্সিল অব কানাডার প্রতিনিধি বৃহৎ গ্রোসারি স্টোরগুলোর বিয়ার ও ওয়াইন বিক্রিতে মুনাফা মার্জিন ২ দশমিক ২ শতাংশ। এটা তাদের জন্য সত্যিই খুব কম। কিন্তু এখন এটা লোকসান। লোকসানে তারা এসব পণ্য বিক্রি করছে, যা ব্যবসায়িকভাবে টেকসই নয়।
ঠিক কত সংখ্যক স্টোর ওয়াইন ও বিয়ার বিক্রি বন্ধ রেখেছে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। ওয়াসিলিশেন বলেন, অ্যালকোহল বিক্রি করতে পেরে গ্রোসাররা এখনো বেশ খুশি। দশ বছর আগে যেমন ছিল এখনো এটা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের তাক থেকে ওয়াইন ও বিয়ার সরিয়ে রাখার কারণ চুরি ও অল্প মুনাফা। এটা তাদের প্রথম পছন্দ নয়। এটাই তাদের সামনে থাকা সর্বশেষ উপায়।
সিটিভি নিউজ টরন্টোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য লবল, সবিস ও মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।