
কানাডার ব্যাপারে চীনের হস্তক্ষেপের চেষ্টা এক শতকের এক-তৃতীয়াংশ জুড়েই চিহ্নিত করে আসছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। নতুন প্রকাশিত এক নথিতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল যে, কানাডায় চীনা অভিবাসীদের প্রভাবিত করতে বেইজিং উন্মুক্ত রাজনৈতিক কৌশল ও গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই লক্ষ্য অর্জনে চীন নতুন ও আরও উন্নত কৌশল ব্যবহার করছে।
তথ্য অধিকার আইনে প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। প্রতিবেদনটির শিরোনাম চায়না/কানাডা: ইন্টারফিয়ারেন্স ইন দ্য চাইনিজ কানাডিয়ান কমিউনিটি। এটি তৈরি করেছে ফেডারেল ইন্টেলিজেন্স অ্যাডভাইজরি কমিটি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কানাডার প্রতিরক্ষা ক্ষতি করতে পারে এই যুক্তিতে নথির বেশিরভাগই গোপন রাখা হয়েছে। সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষক ও বর্তমানে কার্লেটন ইউনিভার্সিটির নরম্যান প্যাটারসন স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র ফেলো অ্যালান বার্নস বলেন, ১৯৮৬ সালের কমিটির প্রতিবেদনে এটাই দেখানো হয়েছে যে, দশকের পর দশক ধরে এসব ইস্যু কানাডিয়ান গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। ইন্টেলিজেন্স অ্যাডভাইজরি কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ফেডারেল সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স কো-অর্ডিনেটর। বিভিন্ন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে এসব প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল।
১৯৮৬ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে চীনা কমিউনিটিগুলোর ওপর চীন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে এইসব কমিউনিটিকে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে কাজে লাগাতে চাইছে। অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতো কানাডাতেও চীন প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং গোপন গোয়েন্দা কর্মকা- চালিয়ে আসছে, যাতে করে তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হয়।
এই প্রতিবেদনে অবাক হননি বলে জানান টরন্টো অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেসি ইন চায়নার কো-চেয়ার চিউক কোয়ান। তিনি বলেন, ১৯৮০ এর দশকের গোড়া থেকেই কানাড্রা ব্যাপারে হস্তক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও গ্রুপকে ব্যবহারের বিষয়টি তিনি জানেন। যদিও ওই সময় এসব কার্যক্রম চালানো হতো খুবই সীমিত পরিসরে। কিন্তু এখন তারা কী করতে চাইছে সেটা আমরা জানি। এটা মোটেই দুর্ঘটনা নয়। সে সময় কেউ না কেউ এ ব্যাপারে যে অবগত ছিলেন সেটা জেনে আমি আনন্দিত। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কেউই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি।