বাংলাদেশ বিষয়ে ওয়াশিংটনকে দিল্লি একটি বার্তা দিয়েছে বলে ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারত সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব। তারা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। তারা যেটা ভালো মনে করে, সেইটাই তারা করেছে। সেটার সঙ্গে (আমাদের) বলার কোনো কারণ নেই। তাদের নিজেদের জন্য এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যদি কিছু বলে থাকে, নিশ্চয় সেটা এই এলাকার উপকারে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আজ রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্বল করলে তা ভারত ও আমেরিকার জন্য সুখকর হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে—এমন একটি খবর গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়। ভারতের এমন অবস্থান নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। জোহানসবার্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং উন্নয়নমূলক সহযোগিতার লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইরান, সৌদি আরব, সিরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ২০টিরও বেশি দেশ ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্রিকসে জয়েন্ট করতে পারলে উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা পাব। আমরা আফ্রিকাতে সম্পর্ক বাড়াতে চাই, যেখানে ব্রিকসের মাধ্যমে যেতে সুবিধা হবে। আফ্রিকায় আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যে। আমাদের বিশ্বাস এতে করে আমাদের সম্পর্কে উন্নতি ঘটবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : আমাদের সময়