
১৯৬৫ সালে প্রথম দেখাতেই সোনিয়ার প্রেমে পড়েন রাজীব গান্ধী। তিনি তখন কেমব্রিজে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ট্রাইপোস কোর্স করতে যান। তারা দুজনেই একটি গ্রিক রেস্তোরাঁয় যেতেন।
অশ্বিনী ভাটনগর লিখেছেন, রাজীব রেস্তোরাঁর মালিক চার্লস অ্যান্টনিকে সোনিয়ার পাশের টেবিলে বসার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন। একজন প্রকৃত গ্রিক ব্যবসায়ীর মতো চার্লস এজন্য তার কাছে দ্বিগুণ অর্থ আদায় করেন।
পরে রাজীব গান্ধীর ওপর সিমি গারেওয়ালের একটি সিনেমায় তিনি বলেছিলেন, আমি এর আগে কাউকে এত গভীর প্রেমে পড়তে দেখিনি।
রাজীব যখন কেমব্রিজে পড়াশোনা করছেন, তখন তিনি নিজের খরচ চালানোর জন্য আইসক্রিম বিক্রি করতেন। সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন সাইকেলে চেপে। যদিও তার একটি পুরনো ভক্সওয়াগেন গাড়ি ছিল, যার পেট্রোলের খরচ তার বন্ধুরা মিলে ভাগ করে নিতেন।
বিখ্যাত সাংবাদিক রশিদ কিদওয়াই সোনিয়া গান্ধীর জীবনী-গ্রন্থে কেমব্রিজে থাকাকালীন রাজীব-সোনিয়ার দেখা করার কাহিনিগুলো উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, রেস্তোরাঁয় প্রতিদিনই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জমায়েত হত। তারা সবাই বিয়ার খেত। তাদের মধ্যে একমাত্র রাজীবই বিয়ার স্পর্শ করতেন না। সে কারণেই সোনিয়ার নজর পড়েছিল তার দিকে।
রশিদ কিদওয়াই বলেন, দুই দিক থেকেই সমান আকর্ষণ ছিল। প্রথমে রাজীব একটি রুমালে তার সৌন্দর্যের ওপর একটি কবিতা লিখে ওয়েটারের মাধ্যমে সোনিয়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন। সোনিয়া সেটা পেয়ে একটু অস্বস্তিতে পড়ে যান।
মজার বিষয় হলো রাজীব গান্ধী শেষ পর্যন্ত সোনিয়াকে বলেননি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। অনেক দিন পর একটি পত্রিকায় ইন্দিরা গান্ধীর ছবি প্রকাশিত হয়। তখন রাজীব গান্ধী সোনিয়াকে বলেন ওটা তার মায়ের ছবি।
সেই সময় কেমব্রিজে অধ্যয়নরত একজন ভারতীয় ছাত্র সোনিয়াকে বলেছিলেন, ইন্দিরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তখনই সোনিয়া প্রথমবারের মতো টের পান তিনি কত গুরুত্বপূর্ণ একজনের সঙ্গে প্রেম করছেন।