
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টসের আগেই বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের মাঠ কয়েকবার কভার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যদিও নির্দিষ্ট সময়েই টস হয়েছে।
৪২ ওভারে ভারতের বোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে ২৩৭ রান। মনে হচ্ছিল, তিনশো বা তার বেশি রান হয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা ডেথে দুর্দান্ত বোলিং করলেন। ফলে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই গুটিয়ে গেলো ভারত। অর্থাৎ জিততে হলে বাবর আজমের দলকে করতে হবে ২৬৭।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ এই লড়াইয়ে দুইবার বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়।
১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান তোলেছে ভারত। ৪৮ রানে তিন উইকেট হারায় রাহুল দ্রাবিড়ের দল। এর আগে ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা ১১ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হন। তিনে নামা বিরাট কোহলি ৩ রান করে বোল্ড হন শাহিনের বলে। এরপর শ্রেয়াসকে ক্যাচে পরিণত করেছেন হ্যারিস রউফ। তিনি ১৪ রান করেন।
বৃষ্টির পর খেলতে নেমে পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে ভারত। নিজের টানা দুই ওভারে আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে।
শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত (২২ বলে ১১)। ১৫ রানে প্রথম উইকেট যায় ভারতের। নিজের পরের ওভারে আফ্রিদির আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারি। এবার ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড কোহলি (৭ বলে ৪)। ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে আঘাত হানেন হারিস রউফ। ব্যাটে লেগে ইনসাইডেজ হয়ে শুভমান গিল (৩২ বলে ১০) হন বোল্ড। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হার্দিক আর ইশান। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি এবং কুলদীপ যাদব।
পাকিস্তানের একাদশ: ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ।