
ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন নববিবাহিত এক বধূ। স্বামীর তাতে সন্দেহ হয় এবং বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। স্বামীর এই আচরণ সইতে পারেননি ওই বধূ। অভিমানে একটি বহুতল ভবনের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম পূজা সোলাঙ্কি। সদ্য বিয়ে হয়েছিল তার। গত শুক্রবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে খাওয়া-দাওয়া, হাসিঠাট্টায় সময় কাটছিল তাদের। সেই সময় একটি ফোন আসে পূজার। তিনি কথা বলা শুরু করেন। বিষয়টিতে বিরক্ত হন পূজার স্বামী। তিনি স্ত্রীকে ফোন রেখে দিতে বলেন। তবে স্বামীর এই আপত্তি ভালোভাবে নেননি পূজা।
ঘরের সবাই যখন গল্পে ব্যস্ত, হঠাৎই ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান তারা। একটু পর কী হয়েছে দেখতে নিচে নেমে আসেন সকলেই। তখন পূজার স্বামী এবং তার আত্মীয়রা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পূজা। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মনপড় থানার এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ওই নারী এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জেনেছে পুলিশ। তবে সেটাই একমাত্র কারণ, না কি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।