
সমগ্র কানাডায় কনজার্ভেটিভ সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যেন, তার কোনো মন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে যোগ দেবেন না। এমনকি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠেয় সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনেও না।
তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত এক ইমেইলে তিনি বলেছেন, বৈশি^ক দাভোস এলিটিস্টদের অনেক আগেই আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং সাধারণ মানুষের সাধারণ জ্ঞানকে গ্রহণ করেছি।
একটি সমীক্ষার জন্য প্রশ্ন রেখে কনজার্ভেটিভ পার্টি সম্প্রতি সমর্থকদের ইমেইলও পাঠিয়েছে। ইমেইলে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোনটাকে তারা সমর্থন করেন? প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শ্রমজীবী কানাডিয়ানদের পাশে দাঁড়ানো নাকি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পাশে দাঁড়ানো।
কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই ডব্লিউইএফের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসছে। সাবেক কনজার্ভেটিভ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিয়মিত সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। লিবারেল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজে ২০১৬ ও ২০১৮ সালের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি তার মন্ত্রীরাও অংশ নিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফিল্যান্ড।
এদিকে লোকজন যাতে সহজে সরকারি সেবা পেতে পারে সেজন্য ফেডারেল সরকার ন্যাশনাল ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন নথির জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি খুঁজছে। তবে কারো জন্যই এতে বাধ্যবাধকতা নেই।
গত শীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘুরছিল। তাতে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যসেবা বাবদ বড় অংকের তহবিল পেতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রদেশগুলোকে ডিজিটাল আইডি সিস্টেমে সইি করতে বাধ্য করছেন। সেই ষড়যন্ত্র এখনো মুছে যায়নি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.