
অন্টারিওর ওয়েন সাউন্ডে নিজের রেস্তোরাঁর বাইরে হামলায় গুরুতর আহত রেস্তোরাঁমালিক মারা গেছেন। গত সপ্তাহে তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
ওয়েন সাউন্ড পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৭ আগস্টের হামলায় আহত রেস্তোরাঁমালিক ৪৪ বছর বয়সী শরিফুর রহমান মারা গেছেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রেস্তোরাঁ বন্ধ করার সময় রহমান তিন ব্যক্তিকে বিল পরিশোধ করে দিতে বলেন। এ নিয়ে ওই ব্যক্তিরা তার সঙ্গে বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রেস্তোরাঁর বাইরে তারা শরিফ ও তার ভাতিজার ওপর আক্রমণ করে বসেন। এতে শরিফুর রহমান গুরুতর আহত হন এবং তাকে লন্ডন হেলথ সায়েন্সেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ভাতিজা সামান্য আঘাত পান।
এরপর ২৪ আগস্ট শরিফুর রহমানের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আক্রমণকারী ওই পুরুষ সন্দেহভাজনদের খোঁজা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা দুই সন্দেহভাজনের ছবি এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে প্রকাশ করা হয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজে সহায়তার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
দুই সন্দেহভাজন ককেশিয়ান বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। মাঝারি গড়নের এই দুই ব্যক্তির উচ্চতা পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি থেকে ছয় ফটের মধ্যে। একজনের চুল ছোট করে কাটা এবং সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল নীল টি-শার্ট, কালো শর্টস এবং কালো রানিং শু পরিহিত অবস্থায়।
অপরজনের চুলের রঙ বাদামি এবং তা ছোট করে কাটা। তার পরনে ছিল কমলা রঙের টি-শার্ট, কালো শর্টস এবং কালো রানিং শু। তৃতীয় সন্দেহভাজন ককেশিয়ান এবং তার বয়স চল্লিশের ঘরে। কোকড়ানো চুলের ওই ব্যক্তিকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল শর্ট ও টি-মার্ট পরিহিত অবস্থায়।
পুলিশের ধারণা, হামলার পর দুই ব্যক্তি সেকেন্ড এভিনিউ ইস্ট ধরে দক্ষিণমুখি হয়ে নাইন্থ স্ট্রিট ইস্ট ধরে পূর্ব দিকে চলে যান। পুলিশ ২০০০ মডেলের একটি ধূসর বা নীল রঙের ফোর্ড এস্কেপ অথবা মাজদা ট্রিবিউটেরও সন্ধান করছে।
১৭ আগস্ট রাত ৮টা থেকে পৌনে দশটার মধ্যে কেউ যদি ওই এলাকার সার্ভিল্যান্স ভিডিওতে সন্দেহভাজনদের দেখে থাকেন তাহলে তাদেরকে ৫১৯-৩৭৬-১২৩৪ নাম্বারে তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।