ঠিকমতো রাতের খাবার না দেওয়ার অভিযোগে ভারতের বিহারের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে একরাতেই ৫৫ জন জন ছাত্রী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জামুইয়ের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। স্কুল ছেড়ে রাতারাতি এতগুলো ছাত্রী উধাও হয়ে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষও।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে ছাত্রীরা পালিয়ে যেতেই বিষয়টি পুলিশকে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে তল্লাশি চালিয়ে তাদের মধ্যে ২২ জনকে হোস্টেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিদের সন্ধান এখনও মেলেনি।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের অভিযোগ, হোস্টেলে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। রাতে বেশিরভাগ দিন অনাহারে থাকতে হয়। দিনের পর দিন এমন ঘটনা চলছিল। রান্নায় সাহায্য না করলে ছাত্রীদের খাবার দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রীরা আরও বলেছে, ক্লাসে দেরি করে গেলে শিক্ষকরা বকাবকি করেন। শুধু তাই-ই নয়, পরীক্ষার জন্য তাদের কাছ থেকে ১৬০০ রুপির পরিবর্তে ২২০০ রুপি করেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এত বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এক শিক্ষার্থী বলেছে, শনিবার বিকাল থেকে আমাদের কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। খালিপেটে ছিলাম। তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করি এখানে আর থাকব না। বাড়ি চলে যাব।
পুলিশ জানিয়েছে, বোডিং স্কুলের ওয়ার্ডেন গুড়ি কুমারী যখন রাতে ঘুমাচ্ছিলেন, সেই সময় নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ৫৫ জন ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওয়ার্ডেন বাথরুমে যেতেই চাবি চুরি করে নেয় তারা। তারপর হোস্টেলের গেট খুলে পালায়।
হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকে জানিয়েছে, রাত সাড়ে ৩টায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফলে ছাত্রীরা কখন পালিয়েছে টের পাননি। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ওয়ার্ডেনের। তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন। সেই খবর পেয়েই মূল ফটকের সামনে থেকে তিন ছাত্রীকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষী।
স্কুল প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বলেন, আমাদের ২২ জন ছাত্রী ফিরে এসেছে। বাকিদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। কেন তারা পালাল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।