
আট কর্মীকে বরখাস্ত করেছে হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্সেস। নিয়োগদাতারা এসব কর্মীর বিরুদ্ধে হাজারো রোগীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্যে অন্যায্যভাবে প্রবেশ করার অভিযোগ আনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্সেস।
এক বিবৃতিতে হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্সেস (এইচএইচএস) বলেছে, চার হাজার রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ করেছেন তারা। তাবে রোগীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ািপ্রন্ট করা, ডাউনলোড করা অথবা ইলেক্ট্রনিক্যালি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটাকে আমরা ¯œুপিং কেস হিসেবে দেখছি।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের কাছে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাইভেসি কমিশনার অব অন্টারিওকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। যেসব রোগী এ ঘটনার স্বীকার হয়েছেন তাদেরকে ৯০৫-৫২১-২১০০ নাম্বারে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এইচএইচএসের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন লেভো বলেন, এ ঘটনায় যাদের তথ্য উন্মুক্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। এ ঘটনা এইচএইচএসের মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। এমনকি চিকিৎসকদের মূল্যবোধেরও বিরোধী এটা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত তথ্য যাতে উন্মুক্ত না হয় সেজন্য হাসপাতালগুলো একাধিক নীতি, ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণ, রুটিন ও র্যান্ডম নিরীক্ষা এবং হাসপাতাল ব্যবস্থা ও তথ্য বিনিময় চর্চার চলমান পর্যালোচনা। প্রত্যেক রোগীরই গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে। এবং এইচএইচএসের প্রত্যেকে এই অধিকারের সুরক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং শিক্ষিত। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা প্রতিরোধে এর চর্চাগুলো উন্নত করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এইচএইচএস।
এ ঘটনায় পুলিশ কোনো তদন্ত শুরু করেছে কিনা জানতে চাইলে এইচএইচএসের একজন মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি ইনফরমেশন অ্যান্ড প্রাইভেসি কমিশনরা অব অন্টারিওকে অবহিত করা হয়েছে।