
গণশুনানিতে অংশ না নিয়ে বরং রুদ্ধদ্বার শৃঙ্খলার মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অন্টারিওর শীর্ষ আদালতের একজন বিচারক ও একজন বিচারপতি। অশে^তাঙ্গ এক তরুণ অপরাধী এবং এক আদিবাসীর সম্বন্ধে করা মন্তব্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
দুটি মামলা দেখভাল করে অন্টারিও জুডিশিয়াল কাউন্সিল (ওজেসি) এবং জাস্টিস অব দ্য পিস রিভিউ কাউন্সিল (জেপিআরসি)। কাউন্সিলগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদনে এর রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে কাউন্সিল গণশুনানির পরিবর্তে মামলাগুলো তাদের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়। এর অর্থ হলো নাম এবং আদালতের স্থান গোপন ছিল।
ওজেসি অথবা জেপিআরসি যদি মনে করে যে, অভিযোগে সত্যতা রয়েছে এবং অসদাচরণের কারণে এটা হয়েছে তাহলে গণশুনানির আদেশ দেওয়া যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে গণশুনানি হয়েছে। অধিকাংশ মামলায় কাউন্সিলগুলোর প্রধান বিচারপতিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। এরপর তারা পরবর্তী কর্মকা- নির্ধারণ করেন।
বিচারকের ঘটনায় ওজেসির প্রধান বিচারপতি অধিকতর শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণের সুপারিশ করেছিলেন। অন্যদিকে জাস্টিস অব দ্য পিসকে ভাষার গুরুত্বের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযোগের উদ্দেশ্য শাস্তিমূলক নয়, বরং সংশোধনমূলক বলে কাউন্সিলগুলো জোর দিলেও একটি জাতীয় সিভিল লিবারটিজ অর্গানাইজেশন বলেছে, উভয় মামলার ক্ষেত্রে গণশুনানি এড়িয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিরিখে অগ্রহণযোগ্য।
সিসিএলএর ক্রিমিনাল জাস্টিস প্রোগ্রামের পরিচালক ও আইনজীবী শাকির রহিম বলেন, উভয় রিভিউ প্যানেলের বর্ণবাদী এবং আদিবাসীবিরোধী মন্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়াটা উদ্বেগের। এর ফলে অশে^তাঙ্গ ও আদিবাসী লোকেরা যদি এই জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের সামনে পড়েন তাহলে তাদের ভয়ের যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে।